30 C
আবহাওয়া
১:৩৫ অপরাহ্ণ - আগস্ট ১৪, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » সব পণ্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বেচা-কেনা হচ্ছে-মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

সব পণ্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বেচা-কেনা হচ্ছে-মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ হতো না। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের রাজধানী এখন ঢাকা। পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিকরাও স্বীকার করেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলাদেশেই বেঁচে থাকবে। পৃথিবীর যে কোন ডিজিটাল যন্ত্রে বাংলা ভাষা লেখার কোন সীমাবদ্ধতাও এখন আর নেই।

মন্ত্রী সোমবার(৪ জুলাই) রাতে ঢাকায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে নগদ রকমারি বইমেলার ‘বেস্ট সেলার এওয়ার্ড ২০২২’ বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

রকমারি ডট কমের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান, কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, শিক্ষাবিদ ড. মো: কায়কোবাদ, আগামী প্রকাশনার প্রতিষ্ঠাতা ওসমান গণি এবং নগদের সিইও সাফায়েত আলম বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর প্রায় সম্পন্ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে  উল্লেখ করে  বলেন, প্রকাশকদের বড় সমস্যার নাম মার্কেটিং।  ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে সে সংকট আজ কেটে গেছে। তিনি দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, এমন কোন পণ্য নেই যা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বেচা-কেনা হচ্ছে না। গত কোরবানি‘র ঈদেও চার লাখ গবাদি-পশু বিক্রি হয়েছে যা অভাবনীয় তিনি বলেন, কাগজের যুগ শেষ, সামনের দিন হবে ডিজিটাল বইয়ের যুগ। পৃথিবী এখন ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল বইয়ের সংমিশ্রণের যুগ অতিক্রম করছে। কাগজের বইয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল বই প্রকাশে এগিয়ে আসতে প্রকাশকদের পরামর্শ দেন ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনা  প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর কাছে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।  তিনি বলেন, ডেস্কটপ পাবলিশিংয়ের আগে দেশে  সীসার হরফ তার পর ফটো টাইপসেটার ছিল মূদ্রণ শিল্পের প্রযুক্তি। পৃথিবীতে প্রথম দেশ বাংলাদেশই ট্রেসিং পেপারে প্রকাশনার কাজ করেছে। এজন্য আমি একটি লেজার প্রিন্টার নষ্ট করেছি। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় সফলতা পেয়েছি। এরই ফলে ৮ পৃষ্ঠার একটি পত্রিকা   প্রকাশ করতে যেখানে ১২০ জন মানুষের প্রয়োজন হতো সেখানে মাত্র ২০ জন মানুষ ৮ পৃষ্ঠার পত্রিকা প্রকাশের জন্য যথেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এটি আমার জন্য সৌভাগ্যের যে দেশের কাগজে প্রকাশিত বইয়ের শতভাগ আমার তৈরি অক্ষর দিয়ে ছাপা হয়।

 

পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে এওয়ার্ড হস্তান্তর করেন।

Loading


শিরোনাম বিএনএ