বিনোদন ডেস্ক: জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান প্রক্রিয়ায় অসংগতির ও বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র অনুদানের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিকল্প ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতারা। এ সময় প্রামাণ্যচিত্রকে অনুদান না দেওয়া ও জনগণের টাকায় বাণিজ্যিক ছবি নির্মাণের প্রতিবাদ জানান তাঁরা। সোমবার(৪জুলাই) শাহবাগ এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের সামগ্রিক চলচ্চিত্রের স্বার্থে অনুদান প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সমাবেশে কিছু প্রস্তাব পেশ করা হয়।
১, অনুদানে স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেওয়া ও বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের পৃথক পরিকল্পনা,
২, ন্যূনতম ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিকে অনুদান প্রদান ও এগুলোর দৈর্ঘ্য ১৫-৪০ মিনিট করা,
৩, নির্মাতার ওপর অপ্রয়োজনীয় বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে না দেওয়া,
৪, এফডিসি, প্রযোজক-পরিচালক সমিতির ছাড়পত্রের বাধ্যবাধকতা না রাখা,
৫, অনুদানে নির্মিত ছবি সরকারি কর্তৃপক্ষকে প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া এবং
৬, অনুদান নীতির সংশোধন। বিকল্প ধারার চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সংগঠন এসব দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘আমি অনুদান কমিটিতে থাকাকালে আমরা একটি প্রামাণ্যচিত্রকে অনুদান দিতে পেরেছিলাম। তাদের কমিটির কর্মকাণ্ডে আপত্তি ছিল বলে গত তিন বছর আগে আমি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি। এর পর থেকে একটি প্রামাণ্যচিত্রকেও অনুদান দেয়া হয়নি। তিনি বলেন আগামী বছর থেকে প্রামাণ্যচিত্রকে অনুদান দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
বিকল্প ধারার চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসিন মুরাদ বলেন, যাঁরা বাণিজ্যিক ছবি বানাতে চান, ব্যাংক থেকে টাকা নিন। শিল্পে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য জনগণের টাকা দেয়া হবে কেন? ’নায়ক শাকিব খানের অনুদান পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘আপনারা কি মনে করেন, শাকিব খান একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করতে পারেন না? তাঁকে কেন অনুদান দিতে হবে? তিনি কেন সরকারি অনুদান নিয়ে ছবি বানাতে হবে কেন? অপু বিশ্বাস কি একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারেন না? সরকারি অনুদান পৃথিবীর কোনো দেশে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রকে দেয়া হয় না।’
বক্তারা অনুদান কমিটিতে যোগ্য ব্যক্তিকে যুক্ত করা ও নীতিমালা মেনে অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এন রাশেদ চৌধুরী, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, হুমায়রা বিলকিস, আবিদ মল্লিক প্রমুখ। এ সময় নানা স্লোগানসংবলিত ফেস্টুন বহন করতে দেখা যায়।
বিএনএ/ রিপন রহমান খান,জিএন