বিএনএ চট্টগ্রাম: এখনো জ্বলছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন। ৬ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত সোয়া ৪টার দিকে জানান চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ৭-৮ টি কনটেইনারে বিস্ফোরণে হয়ে আবার আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। কনটেইনারে কেমিক্যাল ছিল। সেই কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা এখনো মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। কী ধরনের কেমিক্যাল ছিল তা জানতে পারিনি।
ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ডিপো এলাকায় পানির সংকট রয়েছে। সেখানে একটি পুকুর থেকে পানি আনা হয়েছিল, সেই পানিও এখন শেষ পর্যায়ে।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৯টি স্টেশনের ১৮ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ করছে। আমাদের অনেক সদস্য আহত হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ২ শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যালসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকা প্রকম্পিত হয়। প্রায় চার কিলোমিটার দূর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণস্থলের আশপাশের কোনো কোনো বাড়িঘরের জানালা-দরজার গ্লাস ভেঙে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের কুমিরা স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, আগুনে আহতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। এর মধ্যে কনটেইনার ডিপোর কর্মী, পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা থাকতে পারেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই নাসির উদ্দিন জানান, কনটেইনার ডিপোটিতে রপ্তানি পণ্য মজুদ রাখা হতো। আগুনের খবর পেয়ে মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।
আরো দুর্ঘটনা এড়াতে ডিপো এলাকায় লোকজন চলাচল বন্ধ করতে ও স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ