23 C
আবহাওয়া
২:৫০ পূর্বাহ্ণ - মে ৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে ঢাকা!

বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে ঢাকা!


বিএনএ, ঢাকা: প্রায়ই শোনা যায়, রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ কিংবা অন্তত এক-তৃতীয়াংশ বাড়িঘর ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। তবে ভূমিকম্পে ঢাকার ঝুঁকি আসলে কতটা, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। এক গবেষণা অনুযায়ী, ঢাকায় নরম মাটিতে ও জলাশয় ভরাট করে তৈরি সুউচ্চ স্থাপনা ভূমিকম্পে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রতিনিয়তই যেন আতঙ্ক নিয়ে বাস করতে হয় রাজধানী ঢাকায়। সেই আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়ে গেল শুক্রবার (৫ মে) সকালের ভূকম্পন, যা অনুভূত হয়েছে ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন জেলায়।
সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, রিখটার স্কেলে এটির মাত্রা ৪.৩ হলেও উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার একদম কাছেই  দোহারে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, এ ভূকম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে বিক্রমপুরের দোহার থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।

বেসরকারি সংগঠন ডিজাস্টার ফোরামের তথ্যানুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮৭ বার ভূকম্পন হয়। এতে মারা যান ১৫ জন। অবশ্য এর মধ্যে ১৩ জনেরই মৃত্যু হয় আতঙ্কে। প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শহরাঞ্চলেই বেশি। ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সারা দেশে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪৯৬ কিলোমিটার দূরের সিকিম-নেপাল সীমান্তে।

সম্প্রতি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বের ২০টি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম। রিখটার স্কেলে যদি ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে ধসে পড়বে প্রায় ৮ লাখ ৬৫ হাজার ভবন। মৃত্যু হবে ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের, আহত হবেন ২ লাখ ২৯ হাজার মানুষ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো স্থানে ভূকম্পনের জন্য ফল্টলাইনের বড় ভূমিকা রয়েছে। ভূতত্ত্বের বিশাল খণ্ডকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। আর দুটি টেকটোনিক প্লেটের মাঝে থাকা ফাটলকে ফল্ট বা চ্যুতি লাইন বলা হয়। ফল্টলাইন দিয়ে ২ প্লেটের সংঘর্ষ হলে ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশের মূল ভূভাগসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় এ রকম কয়েকটি ফল্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিএনএ/ ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ