পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (৫ মে) জানানো হয়, লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজীসহ পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে আটকে পড়া এসব বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আইওএম কর্তৃক চার্টার্ডকৃত বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইট বাংলাদেশিদের নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার লিবিয়ার বেনগাজী বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে এবং ফ্লাইটটি আজ সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। একই ফ্লাইটে লিবিয়ায় মৃত্যুবরণকারী একজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃতদেহও দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
দেশে পৌঁছার পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে প্রত্যাবর্তনকৃত অভিবাসীরা সকলেই স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত এসেছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন অসুস্থ এবং ৭ জন হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হওয়ায় লিবিয়ার জেলে আটক ছিলেন।
এছাড়া প্রত্যাবর্তনকৃত অভিবাসীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দীর্ঘ ৭-৮ বছর ধরে লিবিয়ায় কর্মরত ছিলেন। তবে লিবিয়ার বিরাজমান পরিস্থিতি, পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ সুবিধা এবং দিনারের অবমূল্যায়নসহ বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির বিবেচনায় তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরত আসার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু লিবিয়া হতে কোন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু না থাকায় তারা দেশে আসতে পারছিলেন না।
এই অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আইওএম এর সহায়তায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে লিবিয়ায় আটকে পড়া অভিবাসীদের আইওএম এর সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পরিচালিত এটি নবম ফ্লাইট। এসকল ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৭৯ জন অভিবাসীকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
বিএনএনিউজ/ এইচ.এম