বিএনএ, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : সীতাকুণ্ডের বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের লালানগর এলাকার কৃষক আবুল বাশারের স্ত্রী রাশেদা বেগমের (৩৫) বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে তীব্র প্রসব বেদনা উঠে। তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থা সংকটাপন্ন মনে করে চিকিৎসক তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
স্ত্রী ও সন্তানকে বাঁচাতে অ্যাম্বুলেন্সে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন আবুল বাশার। সীতাকুণ্ডের পৌরসদর এলাকা অতিক্রমের সময় প্রসব বেদনা তীব্র হয় রাশেদার। বিষয়টি সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিনকে জানানো হয়। খবর পেয়ে তিনি সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে প্রাইভেট কারটি দাঁড় করিয়ে অন্য চিকিৎসকদের সহায়তায় স্বাভাবিক প্রসব করান। এতে জমজ দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই প্রসূতি নারী।
আনন্দে আবেগাপ্লুত কৃষক আবুল বাশার বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁরা আলট্রাসনোগ্রাফি করান। এ সময় তাঁরা জমজ সন্তান রয়েছে জানিয়ে আমার স্ত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। এতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। সীতাকুণ্ড পৌর সদর অতিক্রমকালে স্ত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন মনে হয়। তাই আমি পরিচিতদের সহায়তায় সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করি। তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আমাদের হাসপাতালে আসতে বলেন। হাসপাতালের সামনে তাঁর নেতৃত্বে চিকিৎসকেরা আমার স্ত্রীর সফলভাবে ডেলিভারি সম্পন্ন করান। বর্তমানে আমার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান সুস্থ আছে।
সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, ‘প্রসূতি রাশেদার স্বামী ফোন করে সহায়তা চাইলে আমি তাৎক্ষণিক তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে হাসপাতালে আসতে বলি। হাসপাতালেরে সামনে প্রাইভেটকারটি দাঁড়ানোর পর মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. বিবি কুলসুম সুমি অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে প্রসূতির স্বাভাবিক ডেলিভারি করান। এ সময় তাঁকে সহযোগিতা করেন সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমিত্রা চক্রবর্তী, মায়া রানী দে, সুমনা আক্তার, ইনচার্জ ইন্দিরা ও আয়া নুরজাহান। স্বাভাবিক প্রসবে সফলতা লাভ ও যমজ সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়াই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে প্রসূতি মা রাশেদা বেগম ও তার স্বামী আবুল বাশারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বিএনএনিউজ/ সবুজ শর্মা শাকিল, বিএম