বিএনএ, চট্টগ্রাম : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, আসলে বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের নিজেদের ওপরই কোন আস্থা নাই। ক্রমাগতভাবে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে এক সময় পুরো বিএনপি দলটাই জনগণের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে। নিজেদের ওপর আস্থা নেই বলেই বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে, সেটা তারা জানে। যার কারণে বিএনপিকে নির্বাচন-ভীতিতে পেয়ে বসেছে। সেজন্য ছাপানো ব্যালটেও ‘না’ এবং ইভিএমেও ‘না’ বলছেন তারা।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন’র নগরের এম এম আলী রোডের ক্যাম্পাসে ’বিএনপি এতদিন ইভিএমে ভোটে যাবে না বলার পর নির্বাচন কমিশন এখন প্রিন্ট ব্যালটে ভোট গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন, সেটাতেও তাদের আগ্রহ নেই বলেছেন মির্জা ফখরুল’, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে তথ্যমন্ত্রী এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন’র বিশেষ সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস এর চেয়ারম্যান প্রফেসর এন্ড্রে সেনকেনকে সম্মানসুচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে, আর পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। দেশ-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর বিদেশিদের হাতে পায়ে ধরে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যায় কিনা সেই চেষ্টায় তারা সর্বদা লিপ্ত আছে। তবে এগুলো করে কোন লাভ হবে না।
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা যদি একটু খতিয়ে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন, বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম এবং তালেবানসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্য করেছিল। ঐক্য করে তারা আসন পেয়েছিল মাত্র ছয়টি। পরে মহিলা আসনসহ হলো মোট সাতটি। সেজন্য তারা জানে এই নির্বাচনেও তাদের কোন সম্ভাবনা নাই। সেজন্যই নির্বাচন বা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর বিএনপি ও তাদের মিত্রদের কোন আস্থা নাই।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন অনেকটা তাদের দাবি মেনে নিয়েই ইভিএম থেকে সরে প্রিন্ট ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এখানে তো বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দাবিটাই মেনে নেয়া হয়েছে বলে বলা যায়। সুতরাং এখন নির্বাচনের জন্য যদি তাদের দল গোছায় এবং নির্বাচনে আসে সেটি তাদের জন্যই মঙ্গল হবে।
এর আগে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর বিশেষ সমাবর্তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ তার নিজ শহরে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পর বহু গ্র্যাজুয়েট এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবং তারা সমাজের অগ্রগতিতে এবং সমগ্র সমাজে নারীদের অগ্রগতিতে ভুমিকা রেখে চলছে।
বিশেষ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর ডিন ডেভিট টেইলর বীনাকোনা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর কামাল আহমেদ, বর্তমান ভিসি রুবানা হক, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস এর চেয়ারম্যান প্রফেসর এন্ড্রে সেনকেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. নেহাল আহমেদ প্রমুখ।
বিএনএনিউজ/ বিএম