বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: ইসরায়েলি বাহিনী আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রমজান মাসে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ন্যাক্কারজনক অভিযান চালিয়েছে।
বুধবার(৫এপ্রিল) ফজরের নামাজের পর ইসরায়েলি সৈন্যরা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কমপক্ষে ৪শত ফিলিস্তিনিকে আটক করে নিয়ে যায় সৈন্যরা। এ সময় ১২জন নারীপুরুষ আহত হয়।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, বুধবার অন্তত ৪০০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা ইসরায়েলি হেফাজতে রয়েছে। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আতারোতের একটি থানায় তাদের আটক রাখা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন যে, ইসরায়েলি বাহিনী স্টান গ্রেনেড এবং টিয়ার গ্যাসসহ অত্যধিক শক্তি ব্যবহার করেছে, যার ফলে ফজরের নামাজের মুসল্লিদের দম বন্ধ হয়ে আসে। এ সময় তারা লাঠিসোঁটা ও রাইফেল দিয়ে মুসল্লিদের বেধড়ক পিটিয়েছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে যে, ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের চিকিত্সকদের আল-আকসায় পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে।
ইসরায়েলি অভিযান বুধবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল যখন ইসরায়েলি বাহিনী আবারও ফিলিস্তিনিদেরকে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে আক্রমণ ও বের করে দিতে দেখা গেছে।
“আমি একটি চেয়ারে বসে (কুরআন) তেলাওয়াত করছিলাম,” একজন বয়স্ক মহিলা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মসজিদের বাইরে বসে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। “তারা স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, তার একটি টুকরো আমার বুকে আঘাত করেছে,” এই বলে তিনি কাঁদতে শুরু করেন।
ফিলিস্তিনি দলগুলো উপাসকদের ওপর সর্বশেষ হামলার নিন্দা করেছে, যেটিকে তারা অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “জেরুজালেমে যা ঘটেছে তা উপাসকদের বিরুদ্ধে একটি বড় অপরাধ। আল-আকসা মসজিদে নামায পড়া [ইসরায়েলের] দখলদারিত্বের অনুমতি নিয়ে নয়, বরং এটা আমাদের অধিকার।”
“আল-আকসা ফিলিস্তিনিদের জন্য এবং সমস্ত আরব ও মুসলমানদের জন্য, এবং এটি দখলের বিরুদ্ধে একটি বিপ্লবের স্ফুলিঙ্গ।”
গত বছরের এপ্রিল মাসেও ইসরায়েলি সৈন্যরা পবিত্র আল আকসা মসজিদে প্রবেশ করে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ৩০০জনের বেশি লেঅককে আটক করে নিয়ে তারা।
এদিকে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র মসজিদ পবিত্র স্থান আল-আকসা-কে নিয়ে সর্বশেষ ইসরায়েল এবং গাজার হামাস শাসকদের মধ্যে যুদ্ধ লেগেছিল ২০২১ সালে।
হামাস ইসরায়েল সর্বশেষ অভিযানকে ” ধৃষ্টতাপূর্ণ অপরাধ” বলে নিন্দা করেছে এবং পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের “এটি রক্ষার জন্য আল-আকসা মসজিদে ব্যাপকভাবে যাবার জন্য আহ্বান জানিয়েছে”
খবর আল জাজিরার।
বিএনএ,জিএন