বিএনএ, নোবিপ্রবি : ‘মুক্ত কারাগার’ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের বি ব্লকের, ৩য় তলায়, যেন পরিবার- পরিজন ছেড়ে আসা কিছু সিনিয়র- জুনিয়রদের আরেকটি পরিবারের নাম। এখানকার সিনিয়র জুনিয়ররা নিজেরা এমন এক পরিবেশ গঠন করে নিয়েছে নিজেদের মাঝে যেখানে ব্লকের প্রতিটা রুম যেন পড়াশুনা, সহযোগিতা, আড্ডা ও খেলার অংশ।
মাস কয়েক আগে নোবিপ্রবিতে প্রথম ছেলেদের সালাম হলে আয়োজন করা হয়েছিলো “ব্লক পার্টি – ঐকতান।” স্টেজ, আলপনা, গেইট, পারফরমেন্স সকল কিছুতেই ছিলো এক গোছানো ছোঁয়া। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোষ্ট অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান রিমনসহ আরো কয়েকজন শিক্ষকমন্ডলী। গান, নাচ, কবিতা, আড্ডা, খাবার সকল কিছু দিয়েই আয়োজিত হয়েছিল সেই ব্লক পার্টি। এরপর সবাই মিলে শীতের রাতে বারবিকিউ পার্টিতে মেতেছিল হলের ছাদে।
সে ধারাবাহিকতায় ১০তম রমযানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ইফতার আয়োজন করে মুক্ত কারাগারবাসী। আবেদিন সোহাগ নামের ফার্মেসী ১২ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ব্লক যেন এক আত্মীয়তার পরিবার। আমরা প্রায় সবাই এখানে এক। কারো রুমে কিছু সমস্যা শুনলেই আমরা ছুটে যাই। আমরা চেষ্টা করেছি এ ক্যাম্পাসে এত এত স্বার্থপরতা, এত এত ক্রোধ, হিংসার বাইরেও এক সৌহার্দ্য এর উদাহরন করে দিতে। এখন সিনিয়র- জুনিয়রদের মাঝে যেভাবে মন মানসিকতার তফাৎ দেখা দিচ্ছে, তার বাইরে যেয়ে আমরা চেয়েছি এক সুন্দর উদাহরণ সৃষ্টি করতে। আমরা কতটুকু সফল জানিনা, তবে বলতে পারি আমাদের এ আয়োজন আর ঘনিষ্ঠতা শুনে অন্য হল বা ব্লকের মানুষ রীতিমত অবাকই হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে আমরা আরেকটি ব্লক পার্টি, “ঐকতান -২” করার পরিকল্পনা করছি। আমি সব থেকে নিজেকে ভাগ্যমান মনে করি, কিছু জুনিয়র পেয়েছি এখানকার যারা সব সময় কথা শুনেছে, এক থেকেছে। হুটহাট মেসেজ দিয়ে, খেলতে চাওয়া, আড্ডা দেয়া সব চলে আমাদের। আমরা হয়ত চলে যাবো, তবে চাইবো এ যে টান তা যেন থেকে যায়। আমরা চাই “মুক্ত কারাগার” নোবিপ্রবির বুকে একটা উদাহরণ হয়ে থাকুক।’
বিএনএনিউজ/ শাফি, বিএম