25 C
আবহাওয়া
১:১০ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কালবৈশাখী ঝড়ে সারাদেশে ১১ জনের মৃত্যু

কালবৈশাখী ঝড়ে সারাদেশে ১১ জনের মৃত্যু


বিএনএ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে গাইবান্ধায় ৮ জন, ফরিদপুরে ২ জন, কুষ্টিয়ায় ১ জন মারা গেছেন।রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে  রাত  পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন,গাইবান্ধা:-গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল ঝড়ে গাছ ও ঘরচাপা পড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলার মালিবাড়ি ও বাদিয়াখালি ইউনিয়নে ২ জন, ফুলছড়িতে ২ জন, পলাশবাড়ীতে ৩ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একজন।

নিহতরা হলেন-  সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের ঢনঢনিপাড়া গ্রামের মিঠু মিয়ার স্ত্রী সাহারা বেগম (৪১), পলাশবাড়ী উপজেলার ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে গোফ্ফার (৪২), মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের মমতা বেগম (৫৫), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত হলদিয়া গ্রামের সোলেমান আলীর স্ত্রী ময়না বেগম (৪০), ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের বিটুল মিয়ার স্ত্রী শিমুলী বেগম (২৫), ফুলছড়ি উপজেলার হাফেজ উদ্দীন। এছাড়া বাকী দুই জনের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

ফরিদপুর:-ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের ডাল পড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বানা ইউনিয়নের টাবনী ঘোষবাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- মধুখালী উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মো. জাহিদের স্ত্রী হালিমা (২৫) তার এক বছর চার মাস বয়সী শিশুকন্যা আফছানা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হালিমা তার শিশুকন্যা আফছানাকে নিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় ভ্যানযোগে তার বাবার বাড়ি বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া রওনা দেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বানা ইউনিয়নের টাবনী ঘোষবাড়ির সামনে পৌঁছালে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। সে সময় সজনে গাছের একটি বড় ডাল তাদের ওপর ভেঙ্গে পড়ে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই হালিমা মারা যান। মারাত্মক আহত শিশু আফছানাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়া:-কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মহিষাডোরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত রবিউল পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলার শশীধরপুর গ্রামের সাদ মন্ডলের ছেলে।ঘটনার  সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমোদ মামুন ।

তিনি জানান, রবিউল ইসলাম ভ্যানে করে পেঁয়াজ নিয়ে তার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মহিষাডোরা এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়েন তিনি। সে সময় রাস্তার পাশের একটি দোকানের ঢেউটিন উড়ে এসে তার গলায় লাগে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান রবিউল।

কালবৈশাখী ঝড়ে সারাদেশে ১১ জনের মৃত্যু

এদিকে, রাজধানী ঢাকার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে।রোববার সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়। এর কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় বছরের কালবৈশাখী ঝড়।ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে গাছের ডালপালা। সে সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টার ৬৪ কিলোমিটার। এতে ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অফিস ফেরত মানুষ ।রাস্তার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে দেখা যায়। ঝড় থামার কিছুক্ষণ পর শুরু হয় বৃষ্টি।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ