বিএনএ ডেস্ক: বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে নির্ধারিত সময় পর পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করে থাকেন।
অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকার পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় সংসদ, মেয়র, চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়ে থাকে। আমাদের দেশে প্রতি পাঁচ বছর পর পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সাংসদগণ জাতীয় সংসদে নিজেদের এলাকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান।
বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনে চাইলে ভোট দিতে পারেন কিংবা ভোট দেওয়া থেকে বিরতও থাকতে পারেন। ভোট দেওয়ার জন্য রাষ্ট্র তার জনগণকে বাধ্য করে না। তবে বিশ্বে এমনও অনেক দেশ আছে যেখানে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের গবেষণা বলছে, বিশ্বে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক দেশের সংখ্যা মোট ৩০টি। সবশেষ দেশ হিসেবে কম্বোডিয়াও এই আইন করার ফলে এখন এই সংখ্যা ৩১।
আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, সাইপ্রাস, ইকুয়েডর, মিসর, ফিজি, পানামা, গ্রিস, ইতালি, লিকটেনস্টেইন, লুক্সেমবার্গ, নাউরু, প্যারাগুয়ে, পেরু, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উরুগুয়ে, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা, মেক্সিকো এবং কম্বোডিয়ায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক।
এদের মধ্যে ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং পেরুতে ভোট না দিলে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থাও আছে। বলিভিয়া, নাউরু, থাইল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডে বড় ধরনের শাস্তি দেওয়া না হলেও ছাড়ও দেওয়া হয় না। বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সাইপ্রাস, লিকটেনস্টেইন, প্যারাগুয়ে, ফিজি এবং ইকুয়েডরে সীমিত পরিমাণে শাস্তি দেওয়া হয়। পানামা, গ্রিস এবং আর্জেন্টিনায় খুব সামান্য অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া মিসর, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা এবং মেক্সিকোতে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও কোনো ধরনের শাস্তির বিধান নেই।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ