আনোয়ার হোসেন,খাগড়াছড়ি: শিগগির চালু হচ্ছে রামগড়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর প্রস্তুতি দেখতে ভারত স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আদিত্য মিত্র ও কাস্টমসের প্রধান কমিশনার যোগেন্দ্র র্গাগসহ উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার(৪ জানুয়ারি ২০২৩) রামগড় ইমিগ্রেশন ভবন ও সাব্রুম ইমিগ্রেশন চেক স্টেশন পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে ভারতীয় ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে ছিলেন, ভারত স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষর পরিচালক (প্রকল্প) গীতেশ দীপ, ভারতের কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার টমাস বাসু মিত্র, সহকারী কমিশনার অভ্যুদয় গুহ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহাকারী প্রকৌশলী কাভার সিং, ম্যানেজার ডি নন্দী, চট্রগ্রামে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার এইচ ই ড. রাজীব রঞ্জন , বাংলাদেশের রামগড় ৪৩ বিজিবি’র পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান ও সাব্রুমের ৯৬ বিএসএফ’র কমান্ড্যান্ট কৃষ্ণ কুমার লাল উপস্থিত ছিলেন।
এই বন্দর চালুর লক্ষ্যে খাগড়াছড়ির রামগড়ে মহামুনি এলাকায় ফেনী নদীর ওপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৪ দশমিক ৮০ মিটার প্রস্থ মৈত্রী সেতু-১ নামে একটি আন্তর্জাতিক সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে খরচ হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুমে পৌঁছানো যাবে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অন্যান্য রাজ্যের মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, আসাম, ও অরুণাচলের তথা সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সরোয়ার আলম বলেন, রামগড় সাব্রুম স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন র্কাযক্রম চালুর প্রস্তুতি দেখার জন্য ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছেন।
ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করার জন্য রামগড় ইমিগ্রেশন ভবন পুরোপুরি প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন, উদ্বোধনের দিন ও তারিখ ঠিক করবেন।
এর আগে ২০২১ সালের ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত প্রথম মৈত্রী সেতু-১ উদ্বোধন করেন।
২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর ভারত ও বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বাংলাদেশের দুটি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম ও মোংলা ব্যবহার করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় রামগড় বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের বিষয়টিও ছিল। বন্দরটি চালু হলে উত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন