বিএনএ,সাভার : সাভারে আশুলিয়ায় ইউপি নির্বাচনে পুলিশের এক এসআই’র নেতৃত্বে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারার অভিযোগ তুলে কেন্দ্র বন্ধের দাবি জানিয়েছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদেও সিল মারার অভিযোগ উঠেছে। এতে চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থী কেন্দ্রটির ভোট বন্ধের দাবি জানান। বুধবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার আশুলিয়া ইউনিয়নের আশুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় কেন্দ্রটিতে ব্যাপক হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। হেলাল উদ্দিন নামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থক অভিযোগ করে বলেন, ‘ভেতরে পুলিশের এসআই’র নেতৃত্বে নৌকায় ভোট দিয়েছে নৌকার লোকজন। আমরা প্রশাসনকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা এখানে ভোট বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’
একই অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী হেলাল উদ্দিন মাদবর বলেন, আমি জানতে পেরেছি আশুলিয়া কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে জোরপূর্বক সিল মারা হচ্ছে। আমি প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোন সহায়তা পাইনি।’
এদিকে একই কেন্দ্রে ইউপি সদস্য পদে ফুটবল মার্কায় মো. হেলাল বেপারীর পক্ষে জোরপূর্বক সিল মারার অভিযোগ তুলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী আপেল মার্কার প্রার্থী মশিউর রহমান। তিনি বলেন, আপেল মার্কায় তারা জোরপূর্বক সিল মারছে। এতে বাঁধা দিলে আমার এক কর্মীকে মারধরও করা হয়। এমন হলে ভোট কোনভাবেই সুষ্ঠু হবে না। আমি পুনরায় ভোটের দাবি জানিয়ে এখানে ভোটগ্রহণ বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান বলেন, কে কি বললো দেখার বিষয় না। আমার দায়িত্ব আমি পালন করছি। নৌকা প্রতীকে সিল মারার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা অসম্ভব’। এ ঘটনার পর কেন্দ্রটি পরিদর্শনে আসেন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন,’আমরা পরিস্থিতি দেখছি। ভোট সুষ্ঠু করাটাই এখন প্রধান কাজ। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে নৌকা প্রতীকে সিল মারার অভিযোগ : সকাল ১১ টার দিকে আশুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ১ নং নারী কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে ব্যালট পেপার নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক ও সাধারণ সদস্য পদে ফুটবল প্রতীকে সিল মারার অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতের বিরুদ্ধে।
ইউপি সদস্য পদে ফুটবল মার্কায় মো. হেলাল বেপারী অভিযোগ করে বলেন, আমি এই কেন্দ্রে এসে দেখি প্রিজাইডিং অফিসার নিজে ব্যালট বই নিয়ে এসেছে ছিল মারছে। তার সাথে আর কয়েকজন মিলে ছিল মারছিলো। মোট তিনটা বই নিয়ে ছিল মারা হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার হারুন উর রশিদ বলেন, কয়েকজন এসে তারা বই নিয়ে যায়। আমি চেষ্টা করছিলাম যেনো তারা কোনো ছিল না মারে। আমি তাদের বার বার না করেছি কিন্তু তারা শুনেনি।
বিষয়টি কোনো উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বলতে পারিনি। আমি সময়ই পায়নি। আর যে তিনটি বই ছিল মারা হয়েছে তা বাতিল করা হবে।
প্রিজাইডিং অফিসার হারুনুর রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সামনে নৌকার কিছু লোকজন জোরপূর্বক সিল মারছিল আমি মারি নাই। সর্বোচ্চ ১০০ টার মত সিল তারা মারছে মনে হয়। আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম না করার জন্য। এই ভোটগুলো আমি বাতিল করার ব্যবস্থা করব।
বিএনএনিউজ২৪.কম/ইমরান খান/এনএএম