বিএনএ ডেস্ক: পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
দেশের ৪৮টি জেলার ৯৫টি উপজেলার ৭০৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এরমধ্যে ৪০টি ইউপিতে ভোট হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে।
৭০৮ ইউপিতে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ হাজার ৪৫৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ২৭৪ জন, সংরক্ষিত আসনে ৭ হাজার ৯৫০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫ হাজার ২৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছেন। যদিও এর মধ্যে ৪৮ চেয়ারম্যানসহ প্রায় দুইশ জন প্রতিনিধিবিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক (যুগ্মসচিব) এসএম আসাদুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই ধাপে সাত হাজার ১৩৭টি ভোট কেন্দ্রে এক কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ১৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭০ লাখ ৬০ হাজার ১৪০, নারী ভোটার ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩১ এবং ২১ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ভোটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। আচরণবিধি দেখভাল করতে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও আছেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ইসি জানায়, প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসারের সমন্বয়ে নিয়োজিত আছে ২২ জনের ফোর্স। ভোটের এলাকায় পুলিশ, আনসার ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের একটি করে টিম মোবাইল ফোর্স হিসেবে এবং প্রতি ইউপির জন্য একটি করে টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে। প্রতি উপজেলায় র্যাবের দুইটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং টিম মোতায়েন আছে। বিজিবির মোবাইল টিম রয়েছে দুই প্লাটুন ও এক প্লাটুন সদস্য নিয়োজিত আছে স্ট্রাইকিং টিম হিসেবে। একই হারে কোস্টগার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি ইউপিতে অন্তত একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের দায়িত্বে আছেন।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত সাত ধাপে ইউপি ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। এরমধ্যে গত বছর ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের দুই দফায় ৩৬৯টি, ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি, ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে এক হাজার এবং ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি