বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের রাউজানে পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ও ইট পোড়ানোর লাইসেন্সবিহীন অবৈধ চারটি ইটভাটা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। এছাড়া তিনটি ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের মেলুয়া গ্রাম ও পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াহিদের খিল গ্রামে দিনব্যাপি অভিযান চালিয়ে এসব ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসাইন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন।
উচ্ছেদ করা ইটভাটাগুলো হলো- মেসার্স মামুন বিকস, মেসার্স রুস্তম শাহ (র.) ব্রিকস, মেসার্স মক্কা বিকস ও মেসার্স পায়রা ব্রিকস। মেসার্স মামুন বিকস, মেসার্স রুস্তম শাহ (র.) ব্রিকস ও মেসার্স মক্কা বিকসকে ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, রাউজানের ৫২টি ইটভাটা রয়েছে। এগুলোর একটিরও বৈধতা নেই। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও। এসব ইটভাটায় কাঠ পুড়ানোসহ পুরনো পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছিল ইট।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসাইন বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। একে একে সব অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন জানান, পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ও ইট পোড়ানোর লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে আজ (মঙ্গলবার) রাউজানে চারটি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসব ইটভাটার ২০ লাখ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে। তিনটি ইটভাটাকে মোট ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ, গতকাল সোমবার (৪ জানুয়ারি) রাউজানে প্রথমদিনের অভিযানে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারা বটতল এলাকায় জিবিআই, এইট জিরো এইট ও বিবিসি নামক তিনটি ইট ভাটার চিমনীসহ সর্ম্পূরূপে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বিএনএনিউজ/মনির