বিএনএ,ঢাকা:করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন ক্রয়, সংরক্ষণ ও বিতরণে পাঁচ হাজার ৬শ’৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি(একনেক)।এরমধ্যে ভ্যাকসিন ক্রয় বাবদ খরচ হবে ৪ হাজার ২ শ’৩৬ কোটি টাকা।বাকি অর্থ সংরক্ষণ ও বিতরণে ব্যয় হবে।এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৩ কোটি ৪৬ লাখ মানুষকে দেয়া হবে করোনা ভ্যাকসিন। তবে ১৮ বছরের নিচে কাউকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হবে না।
মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেকের নিয়মিত সভায় জরুরি কাজে এই অর্থ ব্যয় প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত এই প্রকল্প অনুমোদনের ফলে করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং দেশব্যাপী তা প্রয়োগের পথে আর্থিক বাধা দূর হলো।২০২০ সালের এপ্রিলে অনুমোদিত কোভিড নাইনটিন ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্পে সংশোধনী এনে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।তিনি বলেন, গত বছর অনুমোদন দেয়া প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। সংশোধন করে ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি ৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা। তবে প্রকল্পের মেয়াদ নতুন করে বাড়ছে না, আগের অনুমোদিত সময় ২০২৩ সালের জুনেই শেষ হবে।বিশ্বব্যাংকের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণের অর্থে এই ব্যয় মেটানো হবে।করোনা ভ্যাকসিন কেনার সঙ্গে সংরক্ষণ ও বিতরণও করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান,প্রকল্পের আওতায় দেশের ২৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর মেশিনসহ আধুনিক যন্ত্রাপাতি স্থাপন করা হবে।তৃতীয় ধাপে আনা ভ্যাকসিনের দাম ৬ থেকে ১০ ডলার হতে পারে। প্রথম ধাপে সিরামের ভ্যাকসিন পাবে ৩ কোটি মানুষ।ভ্যাকসিন নিয়ে নয়-ছয় না হয়, এজন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে।ভ্যাকসিন ন্যায্যতার ভিত্তিতেই দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি