বিএনএ, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ গ্যাস পাম্পে অগ্নিকান্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ জন হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন। আহত ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ২ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসন।
নিহতরা হলেন, প্রাইভেটকার চালক সদর উপজেলার কিছমত গ্রামের বাসিন্দা হিমেল ও রহমতপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস। আহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কুদ্দুস মারা যান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিদর্শক মো. শফিক উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন। আহত ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ২ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঘটনার সময় ঢাকা থেকে আনা একটি এলপিজি গ্যাসের ট্যাঙ্ক লড়ি থেকে গ্যাস নামানো হচ্ছিল। পাশাপাশি একটু দূরেই একটি প্রাইভেটকারে তিতাস গ্যাস দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় গ্যাস লিকেজ থেকে হঠাৎ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ৭টি গাড়ী অগ্নিকান্ডে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি প্রাইভেকটার, তিনটি সিএনজিসহ অন্যান্য গাড়ী রয়েছে।
এসময় ভস্মিভূত প্রাইভেটকার থেকে হিমেল নামের এক অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এক নারীসহ ৬ জন দগ্ধ হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়। বর্তমানে হাসপাতালের ৪ জনের চিকিৎসা চলছে।
এর আগে বেলা পৌনে ৩ টার দিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের টানা দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ডিসি মো. মুফিদুল আলম বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট লুৎফুন্নাহার নাহারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কীভাবে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তা ওই প্রতিবেদনে জানা যাবে।
বিএনএনিউজ/ হামিমুর রহমান হামিম/এইচ.এম/এইচমুন্নী