28 C
আবহাওয়া
৬:৪০ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মৃত্যুবার্ষিকীতে বাবুর কবর শূন্যে হাহাকার

মৃত্যুবার্ষিকীতে বাবুর কবর শূন্যে হাহাকার

মৃত্যু বার্ষীকিতে বাবুর কবর শূন্যে হাহাকার

এনামুল হক নাবিদ

বিএনএ, চট্টগ্রাম: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল আজ সোমবার ৪ঠা নভেম্বর। বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকী গত ১২বছর নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে পালিত হলেও এবারের চিত্র ছিল একেবারে ভিন্ন রকম। মৃত্যুবার্ষিকীর এইদিনে কোন আয়োজন চোখে পড়েনি। কবরের আশেপাশে কোন নেতাকর্মীর দেখা মেলেনি।

দেখা গেছে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আনোয়ারায় শুরু হতো সপ্তাহ ব্যাপী নানা কর্মসূচী। দুই দিন আগে থেকে নেতাকর্মীদের ভিড় থাকতো । ফুল দেওয়ার প্রতিযোগিতা ছিল চরমে। মৃত্যুবার্ষিকীর দিন হাজার হাজার নেতাকর্মীদের ভিড়ে পুরো হাইলধর এলাকা থাকতো সরগরম। কেন্দ্র থেকে শুরু করে নানা ব্যানারে চলতো আলোচনা সভা ও মেজবানীর আয়োজন। তবে এবারের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের ফলে একেবারেই ভিন্ন চিত্র। নেতাকর্মী বিহীন নিরবতা ‍পুরো হাইলধর এলাকা। বলা যায়, বর্ষীয়ান এই নেতার কবর শূন্যে হাহাকার।

সোমবার সরেজমিন আওয়ামী লীগের এই প্রয়াত নেতাকে যেখানে দাফন করা হয়েছে তার নিজ বাড়ী হাইলধর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে কোন নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। ছিল না পরিবারের কেউ। নেই কোন পোস্টার ব্যানার। জনমানব শূন্য কবর। তবে কবরের ওপর একটা ফুল দেখা গেলেও সেই ফুল কারা দিছে তার কোন পরিচয় ছিল না। তবে কোন নেতাকর্মী স্থানীয়রা কবরে না আসলেও কবরে খতমে কুরআন তিলাওয়াতের আয়োজন করেছেন বোরহান উদ্দিন চৌধুরী মুরাদ। তিনি জানান সকাল থেকে কবরে খতমে কুরআনের আয়োজন করেছি। এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছি। আল্লাহ যাতে এই মহান নেতাকে জান্নাত নসীব করে।

জানা যায়, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ১৯৪৫ সালে আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নুরুজ্জামান চৌধুরী ছিলেন আইনজীবী। মাতার নাম খোরশেদা বেগম। তিনি স্বনামধন্য শিল্পপতি বোয়ালখালী উপজেলার মরহুম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর দ্বিতীয় কন্যা নূর নাহার জামানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আখতারুজ্জামান চৌধুরী ১৯৫৮ সালে পটিয়া হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে ঐ বছরই ঢাকা নটরডেম কলেজে ভর্তি হন।

ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসে পড়ার সময় তিনি বৃত্তি পেয়ে আমেরিকার ইলিনয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ভর্তি হন। পরে তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে এডমিনিস্ট্রেশনে গ্রাজুয়েশন করেন। বিজনেস পড়াশোনা ওখান থেকে অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে দেশে ফিরেন। দেশে এসে ১৯৬৫ সালে ব্যবসা শুরু করেন।

বিএনএনিউজ/ নাবিদ/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ