বিএনএ, নোবিপ্রবি : বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশনা মোতাবেক নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ দিনটি পালন করেছে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জেল হত্যায় নিহত শহীদদের স্মরণ করা হয়।
এ কর্মসূচি সমূহে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইম রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
আজকের ছাত্রলীগ আয়োজিত কর্মসূচি সমূহের মধ্যে ছিলো ভোর ৬ টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন। এছাড়াও বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ আজকের কর্মসূচি নিয়ে বলেন, ‘আজ ৩রা নভেম্বর, ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবস। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জঘণ্যতম ও বেদনাবিধুর একটি অধ্যায়। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্খিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে এই দিনটি অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি এবং এ দেশের তৎকালীন একটি কুচক্রীমহল বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। এরপর ষড়যন্ত্রকে চূড়ান্ত রূপ দিতে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার অভিপ্রায়ে হত্যা করা হয় এই চার নেতাকে।’ এছাড়াও তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা জানেন, এই জাতীয় চার নেতাই বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখেন। আমরা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অতীতের ন্যয় শোকাবহ জেল হত্যা দিবস গভীর শ্রদ্ধার সাথে পালন করি।’
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৫ আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
বিএনএ/শাফি/ এইচ.এম।