বিএনএ ডেস্ক: দেশের বাজারে আবারও বোতলজাত সয়াবিন তেলের বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটারে ১৫ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্ধপতিবার (৩ নভেম্বর) প্রস্তাবটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর পাঠানো হয় এই প্রস্তাব।
এরআগে আগে দুপুরে সচিবালয়ে শিগগিরই সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি এখনই বলেছি, খুব শিগগিরই পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে আমাদের ট্যারিফ কমিশন সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণেই মানুষের কষ্ট হচ্ছে সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সে ক্ষেত্রে সরকার দুর্ভোগের কথা ভেবে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে।
এর আগে, গত ৩ অক্টোবর (সোমবার) সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা কমানো হয়েছিল। ১৯২ টাকা পরিবর্তে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৮ টাকা। এবার ১৫ টাকা বাড়িয়ে পূর্বের দামের চেয়ে বেশি দাম নির্ধারণ করা হলো।
তারও আগে গত ২৩ আগস্ট বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে সাত টাকা বাড়িয়ে ১৯২ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। ১৭ জুলাই বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমে যাওয়ায় দেশের বাজারেও দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমানো হয়। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ৭ শতাংশ কমে ১৮৫ টাকায় বিক্রির কথা বলা হয়।
গত ২৬ জুন মন্ত্রণালয় ও মিল মালিকদের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা এবং পাম তেলের দর ১৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ