17 C
আবহাওয়া
১১:১৯ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৫২ (কুমিল্লা-৪)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৫২ (কুমিল্লা-৪)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল সংসদীয় আসন-২৫২ (কুমিল্লা-৪)

বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে কুমিল্লা-৪ আসনের হালচাল।

কুমিল্লা-৪ আসন

কুমিল্লা-৪ সংসদীয় আসনটি দেবিদ্বার উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৫২তম আসন।

YouTube player

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির ইঞ্জিঃ মন্জুরুল আহসান বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১৮ হাজার ৯ শত ৪৩ জন। ভোট প্রদান করেন ৯২ হাজার ৫ শত ৩ জন। নির্বাচনে বিএনপির ইঞ্জিঃ মন্জুরুল আহসান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ২৭ হাজার ১ শত ৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ন্যাপের অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ। তিনি পান ২৬ হাজার ২ শত ৯৯ ভোট।

ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন: বিএনপির ইঞ্জিঃ মন্জুরুল আহসান বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির ইঞ্জিঃ মন্জুরুল আহসানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির ইঞ্জিঃ মন্জুরুল আহসান বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩ শত ১৩ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৮ শত ৭৩ জন। নির্বাচনে বিএনপির ইঞ্জিঃ মন্জুরুল আহসান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৪৬ হাজার ১ শত ৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির এবিএম গোলাম মোস্তফা। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৩৯ হাজার ২ শত ৯ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির ইঞ্জিঃ মন্জুরুল আহসান বিজয়ী হন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ২১ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬ শত ৯৫ জন। নির্বাচনে বিএনপির ইঞ্জিঃ মন্জুরুল আহসান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৯২ হাজার ৩ শত ২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের ফখরুল ইসলাম মুন্সী। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৮ হাজার ৮ শত ৭৭ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের এবিএম গোলাম মোস্তফা বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৮ শত ৪০ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ১ হাজার ৯ শত ৩১ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এবিএম গোলাম মোস্তফা বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মাজেদা আহসান। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮১ হাজার ৬ শত ৬৪ ভোট।

দশম সংসদ নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৪ শত ৪৭ জন। ভোট প্রদান করেন ৮২ হাজার ৩ শত ৭২ জন। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বিজয়ী হন। হাতী প্রতীকে তিনি পান ৩২ হাজার ৮ শত ৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির মো. ইকবাল হোসেন রাজু। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ২৮ হাজার ৫ শত ৩৬ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে র্নিবাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৭ শত ৫১ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ৭ শত ৫১ জন। নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আবদুল মালেক রতন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহসিন আলম, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির আব্দুল হালিম, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন রাজু এবং মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের মো. বিন ইয়ামিন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৪০ হাজার ৫ শত ৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আব্দুল মালেক রতন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৭ হাজার ৯ শত ৫৮ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সংসদে বিএনপি, দশম সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং নবম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর কুমিল্লা-৪ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, কুমিল্লা-৪ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৪২.২৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৮.৪৩%, বিএনপি ২৯.৩৪%, জাতীয় পার্টি ০.৩৬%, জামায়াতে ইসলামী ১৫.৫৯%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২৬.২৮% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৩.২০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৬.৪৯%, বিএনপি ৩৬.৩৬% জাতীয় পার্টি ৩০.৯০%, জামায়াতে ইসলামী ৫.৭১%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৫৪% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৪.৫২% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৭.৮২%, ৪ দলীয় জোট ৫৯.৩০%, জাতীয় পার্টি ২.০৫%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৮৩% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৫.৭৭% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৭.৮৬%, ৪ দলীয় জোট ৪০.৯২%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.২২% ভোট পায়।

কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। ফখরুল ছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন কুমিল্লা উত্তর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক রৌশন আলী মাস্টার, আমেরিকা প্রবাসী ডা. ফেরদৌস খন্দকার।

আসন ভাগাভাগিতে জাতীয় পার্টি থেকে জোটের মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, অধ্যাপক মোজাফফর আহম্মেদের মেয়ে ও ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আইভি আহম্মেদ।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। তবে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারেনি। এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে তার স্ত্রী মাজেদা আহসান মনোনয়ন চাইবেন। এছাড়াও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যের চাচা এএফএম তারেক মুন্সী বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন।

জামায়াতে ইসলামী থেকে সাহিদুল ইসলাম শহিদ, সিপিবি থেকে আতিকুর রহমান বাশার নিজ নিজ দলের দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি ১৫টি ইউনিয়নের অধিকাংশ চেয়ারম্যান ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি দল আমাকে এবার মূল্যায়ন করলে আসনটি দলকে উপহার দিতে সক্ষম হব।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনটি স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের আমলে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে বিএনপির বিজয় হয়। তখনও এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়। এরশাদ আমলে অনুষ্ঠিত দু’টি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে এই আসনটি চলে যায় বিএনপির দখলে। এই আসন থেকে জাতীয় সংসদের পঞ্চম, ষষ্ট, সপ্তম, অষ্টম সংসদে টানা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। মামলাজনিত কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী আসনটিতে প্রার্থী হতে না পারায় তাঁর স্ত্রী মাজেদা আহসান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী এবিএম গোলাম মোস্তফার কাছে ৩৩ হাজার ৩৯২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। সেই থেকে আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হয়

পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল।
ওই নির্বাচনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজুকে মহাজোট থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগে চতুর্মুখী কোন্দলের কারণে এখানে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। পরে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যায়ে পৌছাতে পারেনি। ২০০৮ সাল থেকে দলের অভ্যন্তরে কোন্দল রয়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক চারটি পৃথক গ্রুপ বিদ্যমান। গ্রুপগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনাও হয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। এখানে চতুর্মুখী প্রকাশ্য ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অনেকটা জর্জরিত আওয়ামী লীগ। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে আসনটি পুনরুদ্ধারে তৎপর বিএনপি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৫২তম সংসদীয় আসন (কুমিল্লা-৪) আসনটিতে আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল অব্যাহত থাকলে বিএনপিই বিজয়ী হবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৫১ (কুমিল্লা-৩)

বিএনএনিউজ/ শাম্মী/ রেহানা/ বাবর/ ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ