বিএনএ, ইসলামিক ডেস্ক : আখেরি চাহার সোম্বা হলো ভারতীয় উপমহাদেশ ও ইরানের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের একটি পবিত্র দিবস। আখেরি চাহার সোম্বা একটি আরবি ও ফারসি শব্দ-যুগল; এর আরবি অংশ আখেরি, যার অর্থ “শেষ” এবং ফারসি অংশ চাহার সোম্বা, যার অর্থ “বুধবার”।
আজ বুধবার (৪সেপ্টেম্বর) পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এ দিন রোগমুক্তি লাভ করেন।
দিনটি উপলক্ষে আজ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম। আলোচক হিসেবে থাকবেন মাদারীপুরের টেকেরহাটের পীরসাহেব হযরত মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী।
হিজরি সালের সফর মাসের শেষ বুধবার মহানবী (সা.) জীবনে শেষবারের মতো রোগমুক্তি লাভ করেন। তাই শুকরিয়া দিবস হিসেবে তা পালিত হয়। প্রতিবছর অনেক মুসলিম দিবসটি উদযাপন করেন। ১১ হিজরির শুরুতে মুহাম্মদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, নামাজের ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না। ২৮ সফর বুধবার তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার। এই দিন কিছুটা সুস্থবোধ করায় তিনি গোসল করেন এবং শেষবারের মতো নামাজে ইমামতি করেন। মদিনাবাসী এই খবরে জানতে পারে এবং দলে দলে এসে উনাকে দেখতে আসেন। সকলে তাদের সাধ্যমতো দান-সাদকা, ধন্যবাদান্তে নামাজ আদায় ও দোয়া করেন। নবির রোগমুক্তিতে অনুসারীদের কেউ কেউ খুশিতে নিজেদের দাস মুক্ত ও অর্থ বা উট দান করেন। দিনটিতে আবু বকর ৫ হাজার দিরহাম, উমর ৭ হাজার দিরহাম, ওসমান ১০ হাজার দিরহাম, আলি ৩ হাজার দিরহাম এবং আবদুর রহমান ইবনে আউফ ১০০ টি উট দান করেন।
বিএনএনিউজ/ রেহানা