18 C
আবহাওয়া
২:০৪ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মিরসরাইয়ে ১০লক্ষ টাকায় নির্মিত গণশৌচাগার ৩ বছরেও অব্যবহৃত

মিরসরাইয়ে ১০লক্ষ টাকায় নির্মিত গণশৌচাগার ৩ বছরেও অব্যবহৃত

মিরসরাই পৌরসভায় গণশৌচাগার বা পাবলিক টয়লেট নির্মাণ

আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই, চট্টগ্রাম: মিরসরাই পৌরসভায় গণশৌচাগার বা পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে কৌশলে তহবিল তছরুপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাবলিক টয়লেট নির্মাণের ৩ বছর পার হলেও তালা ঝোলানো রয়েছে, খোলা হয়নি একদিনের জন্যও। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় মরিচা পড়েছে তালা ও লোহার গ্রীল সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশে। ঝোপ আর জঙ্গলে ঢেকে গেছে শৌচাগারটি, হয়েছে বিষাক্ত সাপের আবাসস্থল।মেয়রের দাবি, ইজারাদারের সংকটে এই অবস্থা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাবলিক টয়লেটের দেয়ালে একটি নামফলক রয়েছে সেখানে লিখা আছে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, বাস্তবায়নে মো: গিয়াস উদ্দিন মেয়র মিরসরাই পৌরসভা এবং ৩২ পৌরসভা প্রকল্প জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। নির্মাণ কাল ২০১৯ থেকে ২০২০। পাবলিক টয়লেটটির চারপাশে ঝোঁপ ঝাড়ে ভরে গিয়েছে। প্রবেশের রাস্তা নেই বললেই চলে। টয়লেটের প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা, সেটাতে পড়েছে অনেক পুরনো মরিচা। দেখেই বুঝা যাচ্ছে তালাটি লাগানোর পর থেকে আর খোলা হয়নি। প্রধান ফটকটিও রিপুজি লতার দখলে।

মিরসরাই জনস্বাস্থ্য  প্রকৌশলী সাঈদুল ইসলাম জানান, ২০১৯ ও ২০২০ অর্থ বছরের ৩২ পৌরসভা প্রকল্পের আওতায় মিরসরাই পৌরসভার বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় জনসাধারনের জরুরী প্রয়োজনে বেশ কিছু পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মিরসরাই বাজারের উত্তর পাশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর সন্নিকটে একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। যার নির্মাণ ব্যায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।

পাবলিক টয়লেটের পাশের এক দোকানির সাথে কথা বলে জানা যায়, পাবলিক টয়লেটটি নির্মাণের পর থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে। একদিনের জন্যও খোলা হয়নি। ওই দোকানি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার দোকানের পাশে পাবলিক টয়লেটটি নির্মাণ করা হলেও জরুরী প্রয়োজনে আমরা এটি ব্যবহার করতে পারি না। এটা কেন নির্মাণ করেছে তারাই ভালো জানে। আমাদের ধারণা বাজেট আত্মসাৎ করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করা হয়নি। যদি মানুষের প্রয়োজনে এটি নির্মাণ করতো তাহলে মানুষের ব্যবহারের প্রয়োজনে এটি উন্মুক্ত করে দিত।

মিরসরাই পৌরবাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন জানান, পাবলিক টয়লেটটি নির্মাণের কয়েক বছর হয়েছে। আমার জানা মতে নির্মাণ পরবর্তী কন্টাক্টারের পাওনা টাকা বকেয়া থাকায় পৌরসভা ও ঠিকাদারের বিরোধের কারণে এটি উন্মুক্ত করা হয়নি।

মিরসরাই পৌরমেয়র গিয়াস উদ্দিন জানান, ঠিকাদারের সকল পাওনা আদায় করে দেয়া হয়েছে। তবে ইজারাদারের অভাবে পাবলিক টয়লেটটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। খুব সহসায় একজন ইজারাদার নিয়োগ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য।

বিএনএনিউজ২৪,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ