বিএনএ,বিশ্ব ডেস্ক : খুব সম্ভবত বিদ্রোহীদের হটিয়ে পাঞ্জশির দখল করার কথিত বিজয় সংবাদে রাজধানী কাবুলসহ সারা দেশে তালেবান সদস্যরা বিজয় উদযাপনে রাতের আকাশে এলাপাতাড়ি গুলিবর্ষন করলে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। খবর টলোও, রয়টার্স ও আলজাজিরার।তাছাড়া নানগারহার গুলি ছুড়ে বিজয় উদযাপন করতে গিয়ে সৃষ্ঠ আগুনে আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। শুক্রবার(৩সেপ্টেম্বর) রাতে পৃথকভাবে এ সব ঘটনা ঘটে।
খামা প্রেস এজেন্সি দাবি করেছে, শুক্রবার সারা আফগানিস্তানে রাতের অন্ধকারে আকাশে গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৭০জন নিহত হয়েছে।
খবরে কারা হতাহত হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয় নি। তবে হাসপাতালের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়।আকাশে গুলি ছুড়লে কেন হতাহত হবে সে ব্যাপারেও কোন ব্যাখা পাওয়া যায় নি। তালেবান মুখপাত্র এ ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানায়।
বন্দুকের গুলি ছুড়ে এভাবে বিজয় উদযাপনে নেতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেন, এভাবে আকাশের দিকে গুলি না করে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করুন। বুলেটে বেসামরিক লোকজন হতাহত হতে পারেন। অপ্রয়োজনীয় গোলাগুলি করবেন না। প্রতিটি বুলেট আফগান জনগনের সম্পদ।
পাঞ্জশির প্রদেশে তীব্র লড়াই চলছে
সংবাদ সংস্থা টলোও এবং আলজাজিরা জানায়, পাঞ্জশির প্রদেশে শনিবারও তীব্র লড়াই চলে তালেবান ও স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনীর সাথে।শুক্রবার হতে তালেবান দাবি করছে, পাঞ্জশিরও দখলে নিয়েছে তারা। যদিও স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা বলছেন, পাঞ্জশির প্রদেশে এখনো তুমুল সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। অঞ্চলটির দখল নিতে মরিয়া তালেবান যোদ্ধারা।সেখানে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মাসুদ ও সালেহ বাহিনী আত্মসমর্পন করবেনা বলে সাফ জানিয়েছে। তালেবানরা ১৫আগস্ট কাবুলসহ অনেক প্রদেশ দখল করলেও পাঞ্জশির তাদের ধরাছোয়ার বাইরে ছিল। অতীতেও এই প্রদেশটি তালেবান শাসন করতে পারে নি। সেখানকার বিদ্রোহী বাহিনী খুব শক্তিশালী।
বিবিসি জানায়, প্রতিরোধ বাহিনীর নেতাদের একজন আমরুল্লাহ সালেহ নিজে ঐ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে ওঠা দাবি নাকচ করে দিয়েছেন।তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে পরিস্থিতি সংকটজনক।পাঞ্জশির দখলের লড়াইয়ে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
পাঞ্জশির প্রদেশের প্রধান নেতা আহমদ মাসুদ বলেছেন, তার বাহিনী শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। শুধু পাঞ্জশির প্রদেশ রক্ষার জন্য নয়, সমগ্র আফগানিস্তানের জন্য। তাছাড়া নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চলবে বলে জানান সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে।
পাকিস্তানের আইএসআই প্রধান কাবুলে
পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের প্রধান, ফয়েজ হামিদ কাবুল গেছেন। হামিদ তালেবান শাসনের অধীনে আফগানিস্তান সফরকারী প্রথম উচ্চপদস্থ পাকিস্তানী কর্মকর্তা। তার সঙ্গে রয়েছেন পাকিস্তানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার হামিদের আগমন খবর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে আফগানদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। পাকিস্তান এবং আইএসআই এর বিরুদ্ধে তালেবানদের সহায়তা ও প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪ডটকম,জিএন