28.2 C
আবহাওয়া
৮:১৯ অপরাহ্ণ - অক্টোবর ৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিএনপি’র জাতীয় সরকার চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

বিএনপি’র জাতীয় সরকার চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন


২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের পক্ষে রাষ্ট্র মেরামতে’ বিএনপির ২৭ রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়েছিল।

রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই রূপরেখা ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মলনে জানানো হয় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঘোষিত বিএনপির ভিশন-২০৩০ এর আলোকে এ রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে।

YouTube player

এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে ‘জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিল বিএনপি। গত ৩ আগষ্ট দীর্ঘ ১ বছর সাড়ে ৭ মাস পর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারেক জিয়ার সেই জাতীয় ঐক্যমতের সরকারে সেই পুরোনো দাবিই নতুন করে করেছে দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

হঠাৎ জনপ্রিয় চাপ সৃষ্টিকারি সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করবে। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা সবার সামনে হাজির করা কথাও বলেন তিনি।

গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলের সমন্বয়ক নাহিদ বলেন, জনগণকে মুক্ত করতে আমরা আবার রাস্তায় নেমে এসেছি। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এক দফাটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, মন্ত্রিসভাসহ পুরো সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’

সমাবেশে নাহিদ জানান, ৯ দফার বদলে নতুন এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবে। সমাবেশে প্রয়োজনে কারাগার ভেঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্ত করার কথাও বলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব।

নাহিদ বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে আর যেন কখনো কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র-ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে।

শহীদ মিনারে যখন নাহিদ ইসলাম বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের রূপ রেখার আদলে একের পর এক ঘোষণা দিচ্ছেন তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার, আবদুল কাদের। এর মধ্যে শেষের তিন জন গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতা। যারা বিএনপি জামায়াতের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার নিয়ে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ না করে তার তীব্র সমালোচনা করেন। তরুণদের ‘রাজনৈতিক হাওয়া’ দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে জাতীয় সংসদে ৫০ শতাংশ তরুণ নেতৃত্বের আসন বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান। তার এই বক্তব্য কোটা সংস্কারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামের ‘ঘুড়িটি’ সারা দেশের আকাশে উড়লেও ‘নাটাই’ কিন্তু লন্ডনে!

সৈয়দ শাকিব

Loading


শিরোনাম বিএনএ