বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রামে-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলন এতদিন শহরকেন্দ্রিক ছিল। এই আন্দোলনে এখন নতুন মাত্রায় যোগ দিয়েছে কওমী শিক্ষার্থীরা। দেখা যায়, রোববার (৪ আগস্ট) পটিয়া জমিরিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক দখলে নিয়ে অবস্থান করে। ওবায়দুল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সকাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দখলে নিয়েছি। আমরা এখানে অবস্থান করছি। দেখা যায়, এসময় মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীরা লাঠি নিয়ে অবস্থান করছেন। এছাড়াও গত শুক্রবার হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা, নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।
এর আগে গতকাল শনিবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রামের আরো বিভিন্ন উপজেলায় নামেন বিক্ষোভকারীরা।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোহাগাড়া উপজেলায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। এরপর তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ধরে লোহাগাড়া সদরে পৌঁছে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। সেখানে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা ভাঙচুর ও পরবর্তীতে আগুন দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা এমদাদিয়া মার্কেটে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায়।
প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে আন্দোলন চললেও পুলিশকে বাঁধা দিতে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের কেউ মাঠে ছিল না। বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে পিছু হটে। সবশেষ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা লোহাগাড়া সদরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে।
এছাড়া সীতাকুণ্ড উপজেলার পৌর এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। সহস্রাধিক লোকজন বিক্ষোভ করলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম জেলার মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব আরিফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখানে বিক্ষোভ হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ/ বিএম/ হাসনা