বিএনএ, চট্টগ্রাম : গত এক বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রাম নগরে ৫ হাজার ৫৩৪টির বেশি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৭৮ হাজার ৪২টি এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৭২ হাজার ৫০৮টি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেছে চসিক। এতে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে এক বছরে ব্যবধানে চসিকের রাজস্ব বেড়েছে ২ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩৭ টাকা।
গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৭৮ হাজার ৪২টি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে চসিকের রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৩ কোটি ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৯ টাকা। এর আগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৭২ হাজার ৫০৮টি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেছে চসিক। এতে চসিকের রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২০ কোটি ৭৮ লাখ ৫৯ হাজার ২৭২ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ৫ হাজার ৫৩৪টি ট্রেড লাইসেন্স বেশি ইস্যু হওয়ায় ২ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩৭ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
তবে, বিদায়ী অর্থ বছরে ১ লাখ ১০ হাজার ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে ৩০ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল চসিকের। ওই হিসেবে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে ৭০ শতাংশ।
বিদায়ী অর্থ বছরে ইস্যুকৃত ট্রেড লাইসেন্সের মধ্যে ১৩ হাজার ৫৪৮টি নতুন এবং এবং ৬৪ হাজার ৪৯৪টি নবায়ন করা হয়। এর আগে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ১২ হাজার ৪৪৫টি নতুন এবং ৬০ হাজার ৫৪টি নবায়ন করা হয়েছিল। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে নতুন ও নবায়নসহ ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হয়েছিল ৮০ হাজার ৫১টি।
৮ টি রাজস্ব সার্কেলের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে চসিক। রাজস্ব সার্কেল-৩ থেকে ১২ হাজার ৮০১টি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে। এর মধ্যে নতুন ইস্যু হয় ১ হাজার ৯৬৮টি এবং এবং নবায়ন হয়েছে ১০ হাজার ৮৩৩টি। এতে ৩ কোটি ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। ফলে বিদায়ী অর্থ বছরে প্রথম হয়েছে রাজস্ব সার্কেল-৩। সার্কেল-১ ও ৪ যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে। সার্কেল দুটির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া সার্কেল-২ এর ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ, সার্কেল-৫ এর ৬৯ শতাংশ, সার্কেল-৬ এর ৭২ শতাংশ, সার্কেল-৭ এর ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সার্কেল-৮ এর লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ পূরণ হয়েছে।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আদর্শ কর তফসিল-২০১৬ অনুযায়ী, নগরে বৈধ ব্যবসার জন্য চসিক থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক। আবার প্রতি অর্থ বছর এসব লাইসেন্স নবায়ন করাও বাধ্যতামূলক। আইনে ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ট্রেড লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আয়কর দিতে হয় ৩ হাজার।
যে কারণে লক্ষ্যমাত্রা অপূর্ণ থাকছে
তিনি বলেন, লাইসেন্স ফি’র সঙ্গে ভ্যাট পরিশোধ করতে হয় ১৫ শতাংশ। ফলে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকায় কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স নিতে চাইলে তাকে আরও ৩ হাজার ৭৫ টাকা আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধ করতে হয়। অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অতিরিক্ত টাকা পরিশোধের ভয়ে ট্রেড লাইসেন্স করতে চান না। এতে চসিকের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হচ্ছে না।
বিএনএনিউজ২৪/আমিন, এসজিএন