বিএনএ, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায়, গত রোববার (৩জুলাই) ফাইজা আক্তার (৩) নামে এক কন্যা শিশুর মৃত্যু হয় বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবে যায়। দুপুর ১টায় পানিতে ভাসামান অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
নিহত ফাইজা আক্তার উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া এলাকার কাজীর তালুক গ্রামের আব্দুল শহীদ বাড়ীর মো. আব্দুল গনির মেয়ে।
গত ২৮ জুন উপজেলার মঘাদিয়ায় আলভী নামে ২বছরের এক শিশু মারা যায়। হঠাৎ তাকে দেখতে না পেয়ে পুকুরে খোঁজ করতেই পানিতে তার নিথর দেহ ভাসতে দেখা যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে দ্রæত মস্তাননগর উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার আগের দিন ২৭ জুন ৪নং ধুম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকার আরশী নামে আড়াই বছরের অপর একটি কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়। নিহত আরশি ওই ওয়ার্ড এর টিটু ফরায়েজির ২য় কন্যা। এটা মাত্র গত ৭ দিনের চিত্র।
এর পূর্বে গত ৭ জুন বিকেলে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামে কনক নামে ৩ বছরের আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। মাত্র ৭ দিনের ব্যাবধানে পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পারিবারিক অসচেতনতার কারনেই প্রতিনিয়ত অবুঝ শিশুরা পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে বলে সচেতন মহলের দাবি।
পরিবারের সদস্যরা একটু সচেতন হলেই নিষ্পাপ শিশুদের মূল্যবান জীবন বেঁচে যেত বলে মনে করেন তারা। এসব শিশুদের জীবন রক্ষায় মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান উপজেলা পর্যায়ে সচেতনতা মূলক প্রচারণা ও সাঁতার প্রশিক্ষন কর্মসূচি গ্রহনের ই”চা প্রকাশ করেছেন। তবে এ বিষয়ে পারিবারিক সচেতনতা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে মিরসরাইয়ের ১৬ টি ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে ধারনা করা হয়। যদিও এর কোন হিসাব রাখেনা কোন সংস্থা। তবে বিভিন্ন সময় পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনা করে এমন ভয়ঙ্কর তথ্য পাওয়া যায়।
বিএনএ২৪/এফএ