27 C
আবহাওয়া
১২:৩৭ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে এএসআইয়ের বিরুদ্ধে কনস্টেবল স্ত্রীর যৌতুক মামলা

চট্টগ্রামে এএসআইয়ের বিরুদ্ধে কনস্টেবল স্ত্রীর যৌতুক মামলা

চট্টগ্রামে এএসআইয়ের বিরুদ্ধে কনস্টেবল স্ত্রীর যৌতুক মামলা

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পতেঙ্গা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আবু নাঈমের (৩৯) বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তার (৩৪)। তিনিও সিএমপিতে কনস্টেবল পদে কর্মরত।

মঙ্গলবার (৪ জুন) চট্টগ্রাম তৃতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রুমানা আক্তারের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই মো. আবু নাঈম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার জয়নগর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।

কনস্টেবল স্ত্রীর অভিযোগ, ২০১১ সালে তার সাথে অভিযুক্ত এএসআই আবু নাঈমের বিয়ে হয়। তাদের একটি ৬ বছর বয়সী কন্যা সন্তানও আছে। বিয়ের পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে ওই এএসআই তার কাছ থেকে দফায় দফায় প্রায় ৩ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে জানতে পারেন, তার অগোচরে ওই পুলিশ সদস্য ২০১৬ সালের ৫ নভেম্বর পাখি বেগম নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। এ বিষয়ে তিনি পুলিশ বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ২০১৭ সালের ২৯ মে তার গ্রামের বাড়িতে এ বিষয়ে বৈঠক হয় এবং বৈঠকে লিখিত আপোষনামা হয়। এরপর ওই নারী কনস্টেবল তার সরল বিশ্বাসে পুলিশ বিভাগে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু এরপর থেকে ওই এএসআই আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং নারী, মদ ও জুয়ার পেছনে টাকা উড়িয়ে উশৃঙ্খল জীবনযাপন করতে থাকেন।

চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি সকাল ৬টার দিকে অভিযুক্ত এএসআই তার কাছে জুয়া খেলার ঋণ পরিশোধের জন্য ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অভিযুক্ত এএসআই তাকে মারধর করেন। এসময় তাকে ‘যৌতুক না দিলে তোকে ডিভোর্স দিয়ে আরেক জায়গায় বিয়ে করবো। আমি পুলিশ অফিসার। তুই আমার কিছু করতে পারবি না’ বলেও হুমকি দেয়। এরপর তার নিকটাত্মীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট অজয় ধর বলেন, যৌতুকের অভিযোগ এনে এক নারী পুলিশ কনস্টেবল তার পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে পতেঙ্গা থানার এএসআই মো. আবু নাঈম বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে বসে বিষয়টি সমাধান করেছি। এমনেই একটু রাগারাগি হয়েছিলো।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজীজ বলেন, সিআর মামলার ক্ষেত্রে সাধারণত আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তবে এর পূর্বে বা পরে আদালত থেকে যদি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় সেক্ষেত্রে গ্রেপ্তার হলে বা বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করবেন এবং বিভাগীয় মামলা হতে পারে।

বিএনএনিউজ/ বিএম/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ