বিএনএ, ঢাকা : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ড থেকে নবজাতক চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাবা শরিফুল ইসলাম। ঘটনার পর থেকে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে ২১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এই বাচ্চা চুরির ঘটনাটি ঘটেছে ।
নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম জানান, ‘আমার দেশের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। বর্তমানে সাভার এলাকায় ভাড়া থাকি। আমি পেশায় একজন দিনমজুর। গতকাল রাতে সাভারের কালামপুর থেকে ঢাকা মেডিকেলের ২১২ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় আমার স্ত্রী সুখী বেগমকে। পরে মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে আমার স্ত্রী সুখী বেগমের জমজ দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। দুই নবজাতকের মধ্যে আমার বড় মেয়ের জ্বর আসে এবং পাশে থাকা একটি মহিলা বলেন আমার কাছে বাচ্চাটি দিয়ে আপনি বড় বাচ্চার জন্য ওষুধ নিয়ে আসেন। পরে আমি এক পাতা নাপা নিয়ে আবার ওয়ার্ডে ফিরে আসি। আমার মাকে জিজ্ঞেস করি বাচ্চা কোথায়। পরে দেখি যে নারীর কাছে আমি বাচ্চা দিয়েছিলাম সেই নারী আর নেই। পরে বিষয়টি আমরা আনসার সদস্যদের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, আমি লেবারের কাজ করি। আমার বাচ্চাকে আমি ফিরে পেতে চাই, এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ওই নবজাতকের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এবং এরপর আমরা পুলিশ ফাঁড়িতে যোগাযোগ করি এবং পরবর্তীতে পুলিশ আসে। তারা সিসি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই নবজাতককে উদ্ধারে তদন্ত শুরু করেছে।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমি শাহবাগ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। এরপর শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নবজাতকের বাবাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।’
বিএনএনিউজ/আজিজুল/এইচ.এম/ হাসনা