রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সুখী-সুন্দর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রকৃতি, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সকলকে একযোগে কাজ করার এবং বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবনের নিশ্চয়তা বিধান করার আহবান জানিয়েছেন।
শনিবার (৪জুন) ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২২’ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। ৫জুন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২২’ পালিত হবে।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে নানা উপাদান গ্রহণ করেই আমরা বেঁচে থাকি। কাজেই প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে পৃথিবী তথা আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমাদেরকে প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন আমাদের এই বাংলাদেশ। ভৌগোলিক অবস্থান, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া, পাহাড়-অরণ্য, নদ-নদী, বিপুল উপকূলীয় প্যারাবন এবং বঙ্গোপসাগর মিলে আমরা পেয়েছি প্রকৃতির এক অনন্য লীলাভূমি। এদেশের মানুষ অনাদিকাল থেকে প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান আহরণের মাধ্যমে জীবনযাত্রা নির্বাহ করছে এবং প্রথাগতভাবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ভূমিকা পালন করছে। সরকার জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশগুলোকে সংরক্ষিত এলাকা ও প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণাপূর্বক সেগুলোর প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। সকল উন্নয়ন পরিকল্লপনা প্রণয়নের সময় প্রকৃতি এবং পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ যেকোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের সময় প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য যাতে বিনষ্ট না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেয়া আবশ্যক উল্লেখ করে বলেন, কারণ, প্রকৃতি বাঁচলে আমরা বাঁচব। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হলে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে; অপরদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হবে। এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃতি, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের মাধ্যমে ধরিত্রীকে টিকিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রপতি সকলকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
বিএনএনিউজ,জিএন
