বিএনএ ডেস্ক: রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দীন আহম্মেদসহ ৩ শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কলেজের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দাবি আদায়ে ক্লাসসহ একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেন তারা। শিক্ষকদের সঙ্গে এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন শিক্ষার্থীরাও।
শনিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসে তারা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শুর হয়। এসময় অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও ব্যাপক অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন তারা। তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আইডিয়াল কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর হাসান বলেন, অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দীন আহম্মেদসহ মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী, বাংলা বিভাগের শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী, গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানের পদত্যাগের দাবিতে সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে কলেজে বিক্ষোভ করেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ…
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ ২০১৭ সালের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পান। যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম, অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা শুরু হয়। মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী, বাংলা বিভাগের শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী, গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানসহ আরও কয়েকজন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের মতো পরিচালনা করেছেন।
তারা অধিকাংশ সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বাদ দিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন অবৈধ/অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ডেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা, ভর্ৎসনা করা, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া, চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়াসহ নানা ধরণের হুমকি-ধামকি দিয়ে প্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, অধ্যক্ষ কলেজে যোগ দেয়ার প্রথম বছরেই তার অনৈতিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে চারজন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেন। একাধিক কর্মচারীকে চাপ প্রয়োগে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। আরও অনেক শিক্ষক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়েছেন। তারা জানান, অধ্যক্ষ পূর্বে যেসব কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন, সব প্রতিষ্ঠানেই দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের কারণে অভিযুক্ত ও তিরস্কৃত হয়েছেন।
শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ, শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী, তরুণ কুমার গাঙ্গুলী জালিয়াতির মাধ্যমে ডক্টরেট ডিগ্রির সার্টিফিকেট কিনে তা কলেজে জমা দিয়ে পদোন্নতিসহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।
বিএনএ/ এ আর