32 C
আবহাওয়া
২:৪৯ অপরাহ্ণ - মে ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মসজিদে হারাম ও নববীতে হাজার হাজার মুসল্লি!

মসজিদে হারাম ও নববীতে হাজার হাজার মুসল্লি!


বিএনএ, ঢাকা: পবিত্র রমজান হচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস। এ মাসজুড়ে বিরাজ করে রহমত, বরকত ও ক্ষমার ঘোষণা। তবে এর শেষ দশকের আলাদা গুরুত্ব ও বিশেষত্ব রয়েছে। এখন রমজান মাসের শেষ দশক চলছে। শেষ হতে চলেছে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত লাভের মহিমান্বিত এই মাসটি। রমজানের ২০ তম দিনে শুরু হওয়া পবিত্র এই মাসের সমাপ্তি পর্বে নাজাত লাভের আশায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ওমরাহ, তারাবি এবং কিয়ামুল্লাইল নামাজে নিযুক্ত রয়েছেন। পবিত্র এই মাসের শেষ রজনীগুলো কাটাতে সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা ও মদিনায় জড়ো হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মুসল্লি।

YouTube player

গত ২রা এপ্রিল মঙ্গলবার গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ লাখেরও বেশি মুসল্লি রমজানের শেষ রাতগুলোতে ইবাদতে মশগুল থাকতে মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মদিনার মসজিদে নববীতে জড়ো হয়েছেন।

গালফ নিউজ বলছে, পবিত্র ওমরাহ পালন ও ইবাদতে মশগুল থাকা মুসল্লিদের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার জন্য দ্য জেনারেল অথরিটি ফর দ্য কেয়ার অব দ্য গ্রান্ড মস্ক অ্যান্ড দ্য প্রফেট’স মস্কের মাধ্যমে বিস্তৃত অপারেশনাল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সৌদি আরবের সরকার।

গত ৩০শে মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই পরিকল্পনার মধ্যে বিস্তৃত পরিষেবার বিধান এবং নামাজ ও অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালনের সুবিধার্থে মানব ও প্রযুক্তিগত উভয় ধরনের প্রযুক্তির স্থাপন ও ব্যবহার রয়েছে।

গালফ নিউজ আরও বলছে, ২০০ সৌদি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ৪ হাজারেরও বেশি কর্মী এই দুই মসজিদে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তারা ৩ হাজার ৫১৬টিরও বেশি টয়লেট, ৯ হাজার ১৫৫টি জমজমের পানির পাত্র পরিচালনার পাশাপাশি নামাজের হল ও আঙিনার জন্য ৩৫ হাজারেরও বেশি নতুন কার্পেট প্রস্তুতের কাজ করছেন।

এ ছাড়াও ওমরাহযাত্রী ও মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য ৩ হাজার হাতের গাড়ি, ২ হাজার বৈদ্যুতিক যান এবং ৬ হাজার যানবাহন পুশারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অন্যদিকে আধ্যাত্মিক ইবাদতের অংশ হিসাবে সফল অনলাইন নিবন্ধনের পর হাজার হাজার মুসল্লি ইসলামের পবিত্রতম এই দুই মসজিদে ইতিকাফ করছেন।

ইতিকাফের অর্থ হলো- নবী মোহাম্মদ (সা.) এর সুন্নত অনুসরণ করে একজন মুসলমান শুধুমাত্র ইবাদত করার এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করেন।

রমজানের এই শেষ দশকের মধ্যে রয়েছে লাইলাতুল কদর তথা ভাগ্য রজনী। কোরআন ও হাদিসে কদর রাতের বিভিন্ন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে সূরা কদরে বলেন, ‘কদর রজনী হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। সেই রজনীতে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতরণ করেন প্রত্যেক কাজে তাদের রবের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, সেই রজনীর সুবেহ সাদিক উদিত হওয়া পর্যন্ত।’

সহিহ বুখারি, ২০১৪ নম্বর হাদিসে বলা হয়েছে এই রাতে বান্দাদের ওপর আল্লাহর অবারিত রহমত বর্ষিত হয়। তাদের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও সওয়াব লাভের আশায় কদরের রাতে ইবাদত-বন্দেগি করবে, তার পূর্বের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।

সহিহ বুখারি, ২০১৭ নম্বর হাদিসে বলা হয়েছে, প্রত্যেক বেজোড় রাতের কোনো একটি লাইলাতুল কদর হতে পারে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান করো।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে এক কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করেছে, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা। আগামী হজ্ব মৌসুম শুরুর আগেই দুই কোটির বেশি মুসল্লি ওমরাহ পালন করবেন বলে আশা করছে সৌদি আরব।

বিএনএ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী, ওজিী /এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ