বিএনএ, কক্সবাজার: বাংলাদেশের ওপারে মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ চলছে। লড়াইয়ে তীব্রতা এতটা বেশি যে রাতদিন সেখান থেকে বিকট শব্দ ভেসে আসছে। কখনো কখনো উড়ে আসছে গোলা। নাইক্ষ্যংছড়িতে এক ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফলে বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাসকারী মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
এই অবস্থায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রচণ্ড গোলাগুলি সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ১২ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ছয়টার দিকে তারা বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে বিজিপি প্রবেশ করে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সীমান্ত সুরক্ষা রাখতে বিজিবি কঠোর অবস্থান নেয়।
এদিকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘর্ষে বুলেট-মর্টারশেল এসে পড়ছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তমব্রু কোনাপাড়ায়। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকেই গোলাগুলি ও মর্টারশেলের শব্দ শোনা যায়। সন্ধ্যার পর থামলেও মধ্যরাত থেকে আবারও শুরু হয় গোলাগুলি। বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে ঘুমধুম-তমব্রু সীমান্তবর্তী এলাকা। বেশ কয়েকটি বুলেট ও মর্টারশেলের খোসা এসে পড়ে তমব্রু কোনাপাড়ায়।
মর্টারশেলের খোসার আঘাতে ছিদ্র হয়ে যায় কয়েকটি বাড়ির টিন। এতে চারিদিকে আতঙ্ক আরও ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে-আতঙ্কে সীমান্ত এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে শুরু করেছে।
বিদ্রোহী ও জান্তা বাহিনীর যুদ্ধের কারণে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা দেখা যাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আধা সামরিক বাহিনী বিজিবিকে সর্তক ও বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে।
বিএনএনিউজ/ রেহেনা/ বিএম/ হাসনা