চট্টগ্রামে ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। বৃহস্পতিবার ( ৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্যোগে এ ক্যান্সার হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম আবু তৈয়ব, হাসপাতাল ভবনের অনারারি পরিচালক প্রকৌশলী আলী আশরাফ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোরশেদ হোসেন, ডা. আঞ্জুমান আরা ইসলাম ও ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর প্রমুখ।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব রেজাউল করিম আজাদ বলেন, মরণব্যাধি ক্যান্সার সারা দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শিশু কিশোর, যুবক-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সব বয়সের মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। চট্টগ্রামে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে ক্যান্সারের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। এ কারণে এখানকার ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঢাকার ওপর নির্ভর করতে হয়।

তিনি বলেন, কিন্তু অধিকাংশ রোগীর পক্ষেই ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগী অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষের কারণে যথা সময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার রোগীও ভালো হচ্ছে। তারা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন। বিষয়টি অনুধাবন করে আমরা ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি।

রেজাউল করিম আজাদ জানান, বর্তমানে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা চলছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিভাগের জনসংখ্যার তুলনায় বর্তমানে বিদ্যমান সেবা ব্যবস্থা বড়ই অপ্রতুল। বর্তমানে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৩০ জন এবং অন্তঃবিভাগে ভর্তি হচ্ছে ১০ শয্যায় ১০ জন। অথচ প্রতিদিনই শয্যার অভাবে ভর্তি করা যাচ্ছে না অনেক রোগীকে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ক্যান্সার রোগী বৃদ্ধির হারের বাস্তবতায় চট্টগ্রামে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যান্সার হাসপাতাল অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু বিশেষায়িত এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় প্রধান নিয়ামক হল অর্থ। আমরা মনে করি, চট্টগ্রাম নগরে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিটি মানুষ যদি ১০০ টাকা করে এ ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য দান করেন তাহলে মুহূর্তেই ৭০ কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি হয়ে যাবে। এমন প্রত্যাশা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

বিএনএ/আমিন