33 C
আবহাওয়া
৪:৩৩ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৫, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা হচ্ছে

পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা হচ্ছে


বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা হতে যাচ্ছে। তবে তাকে কারাদণ্ড বা অন্য সাজা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) একজন বিচারক এমনটা জানিয়েছেন।

যৌন সম্পর্কের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়া সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলাটিতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে।

বিচারক জুয়ান মার্চানের ওই বক্তব্যের অর্থ হলো, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র ১০ দিন আগে ট্রাম্পকে আদালতে হাজির হতে হবে।

তবে নিউইয়র্কের বিচারক জুয়ান মার্চান ট্রাম্পকে কারাদণ্ড বা জরিমানা না দিয়ে ‘শর্তহীন মুক্তি’ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি তার আদেশে লিখেছেন যে, ট্রাম্প সশরীরে কিংবা ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন।

বিচারক তার আদেশে বলেন, ‘ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেওয়ার ইচ্ছা তার নেই। তাকে ‘শর্তহীন মুক্তির’ দণ্ডাদেশ (একধরনের স্থগিত দণ্ডাদেশ) দেওয়া হবে; যার অর্থ তাকে কোনো হেফাজতে থাকার, আর্থিক জরিমানা দেওয়ার কিংবা প্রবেশনের প্রয়োজন হবে না। এটাই হবে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।’

এমন রায়ে ট্রাম্প আপিল করার সুযোগ পাবেন। বিচারক জানান, আপিলের বিষয়ে ট্রাম্প তার অভিপ্রায় স্পষ্ট করেছেন।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে এ মামলায় নির্দোষ দাবি করেছেন। তার দাবি, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ক্ষতি করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মামলায় স্টর্মি ড্যানিয়েলস অভিযোগ করেছেন, ২০০৬ সালে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে একটি হোটেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক হয়। সে ঘটনা যাতে তিনি কাউকে না বলেন, এ জন্য ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এর ১০ বছর পর ২০১৬ সালে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেন ট্রাম্প।

সে সময় ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ঘুষ দেওয়ার সেই তথ্য তিনি তার ব্যবসায়িক নথিতেও গোপন করেন।

অবশ্য ট্রাম্প স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, এ সবকিছু রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ ঠেকাতে বাইডেন প্রশাসন এসব কিছু করেছে।

ট্রাম্পই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট, যার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচার শুরু হয়। মামলায় গত বছরের মে মাসে ম্যানহাটানের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারকেরা তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ ঘোষণা করার কথা ছিল গত বছরের ১১ জুলাই। কিন্তু কয়েক দফা তা পেছানো হয়। গত বৃহস্পতিবার বিচারক মার্চান বলেন, ট্রাম্প গত আগস্টে তার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ নির্বাচনের পর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

বিচারক মার্চান বলেছেন ট্রাম্পের উদ্বেগের বিষয়গুলোতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ তিনি পেয়েছেন।

এ ক্ষেত্রে তার হাতে যেসব বিকল্প আছে তার একটি হলো দণ্ডাদেশ বাস্তবায়ন ২০২৯ সালে তার হোয়াইট ছাড়া পর্যন্ত বিলম্বিত করা কিংবা দণ্ড দিলেও তার সাথে জেলে থাকার বিষয়টি থাকবে না।

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টের আদেশে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন প্রাতিষ্ঠানিক কাজের জন্য তিনি দায়মুক্ত থাকবেন বলে যে আদেশ দিয়েছিল, সেটিকে আদালতের সামনে যুক্তি হিসেবে নিয়ে আসার চেষ্টা করে সফল হননি। গত জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট ওই আদেশ দিয়েছিল।

গত মাসে ট্রাম্পের ঘুষের মামলা খারিজ চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল তা খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারক মার্চান।

যুক্তরাষ্ট্রে নথি জালিয়াতির মামলায় চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান আছে। কিন্তু ন্যূনতম দণ্ড বা কারাবাস অবশ্য পালনীয় নয়। তাই, ডোনাল্ড ট্রাম্প জেলে যাবেন না বলেই মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

এর কারণ হিসাবে তারা ব্যাখ্যা করেছেন ট্রাম্প একজন প্রবীণ ব্যক্তি এবং ‘ফার্স্ট টাইম অফেন্ডার’ অর্থাৎ প্রথমবার কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাই তাকে কারাগারে পাঠানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও তিনটি রাজ্যে অভিযোগ ও ফেডারেল ক্রিমিনাল মামলা আছে। এর একটি গোপনীয় নথি বিষয়ক এবং দুটি হলো ২০২০ সালের নির্বাচনি ফল সংক্রান্ত।

এর আগে গত ২৬শে নভেম্বর তার বিরুদ্ধে দণ্ড দেয়ার কথা ছিলো কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতায় বিচারক তা পিছিয়ে দেন।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম/এইচমুন্নী

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ