বিএনএ: নানা অনিয়ম ও কারচুপির কারণে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। উপনির্বাচনে দ্বিতীয়বার ভোটগ্রহণে ভোটার উপস্থিতি বেশ কম। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন-আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), জাতীয় পার্টির এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, ১৪৫ কেন্দ্রের সবগুলোতে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে। মনিটরিং করতে বসানো হয়েছে ১ হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। মাঠে আছে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের মোবাইল টিম। দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন। দুই উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ১৪৫টি এবং বুথের সংখ্যা ৯৫২টি।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। পরে ভোট বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। তদন্ত শেষে অনিয়মের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির সুপারিশও করে ইসি।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। গত বছরের ১২ অক্টোবর আসনটিতে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা শুরু হয়। তবে অনিয়মের অভিযোগে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
বিএনএ/ওজি/এ আর