বিএনএ ঢাকা: দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির বয়সসীমা নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে শিক্ষার্থীরা সুনির্দিষ্ট বয়সে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী, শিক্ষার্থী ভর্তির সংশোধিত নীতিমালায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তির বয়স ৭ বছরের বেশি, তৃতীয় শ্রেণিতে ৮ বছরের বেশি, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১১ বছরের বেশি ও সপ্তম শ্রেণিতে ১২, অষ্টম শ্রেণিতে ১৩ ও নবম শ্রেণিতে ভর্তির ন্যূনতম বয়স ১৪ বছর বেঁধে দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপসচিব আলমগীর হুছাইনের সই করা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সংশোধিত নীতিমালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার সবগুলো শ্রেণিতে ভর্তির বয়সসীমা নির্ধারণ করা হলো।
নির্দেশনা অনুযায়ী, পরবর্তী শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির বয়স নির্ধারণ করা হলেও অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছিলেন না। পরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, সরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণি ছাড়া অন্যান্য শ্রেণিতে ভর্তির জন্য বয়সের বাধ্যবাধকতা নেই। সে নির্দেশনা মোতাবেক অনেক স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়ে সংশোধিত নীতিমালাটি জারি করলো মাউশি।
সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির বয়সের ভিত্তিতে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বয়স সাত বছরের বেশি, তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির বয়স আট বছরের বেশি, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির বয়স ১১ বছরের বেশি ও সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স ১২ বছরের বেশি হতে হবে।
তবে, ভর্তির বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। সে অনুযায়ী বেশিরভাগ সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ। কিন্তু ভর্তির সময় পার হয়ে যাওয়ার পর সরকারি স্কুলের ভর্তির সংশোধিত নীতিমালা জারি করা হলো।
বিএনএনিউজ/আরকেসি