বিএনএ, পটুয়াখালী : বাংলাদেশর পর্যটন শিল্পে একের পর এক সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে। সাথে খুলছে মানুষের ভাগ্যের চাকা। ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠেছে বিশাল সম্ভাবনা নতুন আর এক দিগন্ত। প্রায় পাঁচ হাজার একর আয়তন নিয়ে জেগে ওঠা এ চরটি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত। লাল কাঁকড়ার অবাধ ছুটোছুটি আর অতিথি পাখির কলকাকলি। দিগন্ত জোড়া আকাশ আর সমুদ্রের নীল জল রাশি আছড়ে পড়ছে কিনারায়। এছাড়া সাদা গাংচিলের দল এদিক-ওদিক উড়ে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে পর্যটকদের। জেগে ওঠা চরটির নাম ‘চরবিজয়’ রাখা হলেও গভীর সাগরে মাছ ধরারত জেলেদের কাছে ‘হাইরের চর’ নামে পরিচিত। প্রতিদিনই আগত পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছে এক নজর দেখতে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এ চর ভ্রমণে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোসিয়শন কুটুম’রসহ সভাপতি হোসাইন আমির বলেন, সৈকত থেকে টুরিস্ট বোট নিয়ে এ চর বিজয়ে মাত্র দেড় ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস চরটি হাঁটু পানিতে ডুবে থাকে। শীত মৌসুমে ধু ধু বালু নিয়ে জেগে উঠে। এ সময়ে তিন/চার মাসের জন্য অস্থায়ী বাসা তৈরি করে মাছ শিকার এবং শুটকি প্রক্রিয়াজাত করেন জেলেরা।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এম এম মিজানুর রহমান জানান, কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা পর্যটক টুরিস্ট বোর্ড নিয়ে সমুদ্রের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান নৌ-ভ্রমণে যায়। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের টুরিস্ট পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।
বিএনএনিউজ/জেবি