দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল সত্বাধিকারীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অভ্ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো’র প্রতিনিধিবৃন্দ ২ ডিসেম্বর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের সাথে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে এক বৈঠকে মিলিত হন।
এটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আরিফ হাসানসহ এসোসিয়েশন পরিচালকবৃন্দের মধ্যে আহমেদ জোবায়ের, আব্দুল হক, কাজী জাহেদুল হাসান, আশফাক উদ্দীন এবং সদস্য নাসির উদ্দীন বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটকো নেতৃবৃন্দের সাথে অত্যন্ত হৃদ্যতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এটকোর পক্ষ থেকে কয়েকটি বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে, বাংলাদেশে যে সমস্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি আছে তারা লাইসেন্স না নিয়েই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করছে, কনটেন্ট বানাচ্ছে, অনলাইনে প্রচার করছে এবং সেখান থেকে উপার্জন করছে, যেটি তাদের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ। টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি এবং মোবাইল অপারেটরদের নিয়ে আমরা বিষয়টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো। তারা যদি নিয়মবহির্ভূতভাবে এটি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মন্ত্রী আরো জানান, ‘আরেকটি বিষয়, আইপিটিভি রেজিস্ট্রেশন দেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, এটকোর পক্ষ থেকে সে প্রশ্ন তারা তুলেছেন। আইপিটিভি পৃথিবীর বাস্তবতা। কিন্তু ব্যাঙের ছাতার মতো আইপিটিভি সমীচীন নয় বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। আমরা ইতোমধ্যেই ১৪টি আইপিটিভিকে রেজিস্ট্রেশন দেয়ার অনুমতি দিয়েছি। আইপিটিভি সংক্রান্ত নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে, সেখানে নীতিমালায় বলা আছে আইপিটিভি কোনোভাবেই সংবাদ প্রচার করতে পারবে না, ক্যাবলের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবে না। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অত্যন্ত যত্নসহকারে আইপিটিভির ব্যাপারে অগ্রসর হতে চাই, যথেচ্ছভাবে নয়।’
এর আগে এটকো’র পক্ষ থেকে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই এদেশে গণমাধ্যমের প্রসার ও বিকাশ। এবং তিনি আজকে সরকারের আছেন বলে নয়, যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখনও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য তিনি সবসময় নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। গণমাধ্যমবান্ধব মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের নির্দেশে তথ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে যা আমাদের এই শিল্পের অব্যাহত যে প্রসারে সহায়ক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় তিন ডজনের মতো টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার করছে, অবাধ তথ্য দিচ্ছে এবং অনুষ্ঠানামালা প্রচার করছে। সেখানে নতুন করে আইপিটিভির অনুমোদন দেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, সে উদ্বেগের কথা আমরা মন্ত্রীকে আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি।’
এটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আরো বলেন, ‘মোবাইল ফোন সেবা দেয়ার জন্য যাদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, তারা ওটিটির মাধ্যমে অনুষ্ঠান এমন কি সংবাদ পর্যন্ত প্রচার করছে। অথচ তাদের ওটিটির মাধ্যমে অনুষ্ঠান করার অনুমোদন দেয়া হয়নি, তাই আমরা মনে করি ওটিটির মাধ্যমে মোবাইল অপারেটররা যেটা করছেন সেটা অবৈধ। এটা বন্ধ করার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি এবং মন্ত্রী এবিষয়ে নির্দেশনা দেবেন বলে আশা করছি।’