ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের মেধা ও দক্ষতার ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। তিনি শিক্ষার্থীদের একটি অনুরোধ করে বলেন, তোমরা আর্টস, সাইন্স, কমার্স, মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং যে যাই পড়না কেন, তাতে কোন রকম পছন্দ নেই। শুধু একটা শর্ত তোমরা পূরণ করো। সেটা হচ্ছে- প্রত্যেকেই ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করো। তুমি যাতে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে পারো সেটাই ডিজিটাল দক্ষতা।’
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানের ২য় দিনের আলোচনা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল দক্ষতার ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যে যত কথাই বলুক ইন্টারনেট ব্যবহার করাও একটি ডিজিটাল দক্ষতা। এই দক্ষতা তুমি অর্জন করবে। তবে অপব্যবহার করবে না। এটা তোমাদের জন্য একটা সুযোগ। তোমরা নিঃসন্দেহে সেটা কাজে লাগাবে। এজন্য কিন্তু তোমাদের প্রোগ্রামার হতে হবে না; বিশেষজ্ঞ হতে হবে না।’
উৎসবের ২য় দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।