30 C
আবহাওয়া
৫:৩৮ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন কিন্তু আদর্শ হতে বিচ্যুত হননি–মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন কিন্তু আদর্শ হতে বিচ্যুত হননি–মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সহকর্মী। তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর অনেকেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে আঁতাত করে। জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে বিচ্যুত হননি।

বুধবার (৩ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করার জন্য ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বুঝতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তের কিংবা আদর্শের উত্তরাধিকার বেঁচে থাকলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আবার তাদেরকে ঘিরে সংগঠিত হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর খুনিরাই চার নেতাকে জেলখানার মতো সুরক্ষিত জায়গাতে হত্যা করে।

মন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের সৃষ্টিতে জাতীয় চার নেতার অবিস্মরণীয় অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

আলোচনাসভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মোঃ জহুরুল ইসলাম রোহেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার ও রঞ্জিত কুমার দাসসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান (Mustafa Osman Turan) সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্কের সরকার এবং জনগণের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। এ সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম ঐক্য বিনষ্ট করছে এমন বহু প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল। এখন বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রকৃত  সত্য প্রকাশ্যে এসেছে এবং সব ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়েছে। এখন বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। দু’দেশের সরকারই সব ধর্মের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের নামে যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তিকর অপব্যাখ্যার  বিরুদ্ধে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব খাজা মিয়া এ সময় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্যানারমিক জাদুঘর তৈরিতে তুরস্কের কারিগরি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ-তুরস্কের সম্পর্ক পরীক্ষিত। বাংলাদেশ এবং তুরস্ক দুই দেশের   মুসলিম জনগোষ্ঠীই সুন্নি এবং হানাফি মাযহাবের অনুসারী। দুই দেশের সংস্কৃতিতে অনেক  সাদৃশ্য রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্ককে নিয়ে লেখা কবিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত তুরস্কে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং পার্ক করা হচ্ছে বলে জানান। এছাড়া দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়, বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্যানারমিক জাদুঘর তৈরিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বিএনএ নিউজ২৪, জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ