29 C
আবহাওয়া
৭:১১ পূর্বাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৬৮ মামলা বিচারাধীন

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৬৮ মামলা বিচারাধীন


বিএনএ, ঢাকা( আদালত প্রতিবেদক) : শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বর্তমানে ১৬৮টি মামলা বিচারাধীন। এরমধ্যে ফৌজদারি আদালতে একটি, দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি এবং বাকি ১৬৬টি মামলা ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে বিচারাধীন। তবে শ্রমিকদের দাবিকৃত পাওনা ইতোমধ্যে পরিশোধ করায় বর্তমানে ১০৬টি মামলাই নিষ্পত্তির পথে। ড. ইউনূসসহ অন্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে গ্রামীণ টেলিকম সংশ্লিষ্ট মামলা ৬৪টি। এছাড়া গ্রামীণ কল্যাণের ৬৯টি, গ্রামীণ কমিউনিকেশনের ২৫টি ও গ্রামীণ ফিশারিজের নামে ৮টি।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণের কর্মচারীরা (বর্তমান ও সাবেক) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে এসব মামলা করেন। এসব মামলায় শ্রমিকরা তাদের পাওনা টাকা পরিশোধের দাবি করেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলাটি এখনও তদন্তাধীন।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সব মামলাই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এটিই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা। এ মামলায় অন্য তিন জন বিবাদী হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও শাহজাহান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গেলে শ্রম আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখতে পান। তারা জানতে পারেন ওই প্রতিষ্ঠানে ১০৬ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণে ‘তহবিল ও কল্যাণ তহবিল’ গঠন করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।

এ মামলায় চলতি বছরের ২২ আগস্ট ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম সেদিন সাক্ষ্য দেন।

ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুনের দাবি—শ্রম আইনের ১৯ অধ্যায়ে কোন কোন অপরাধ ফৌজদারি অপরাধ হবে, তার তালিকা রয়েছে। তবে এই মামলায় দেওয়ানি ও প্রশাসনিক অপরাধকে ফৌজদারি হিসেবে গণ্য করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এসব অপরাধকে ফৌজদারি হিসেবে চিহ্নিত করা সঠিক হয়নি। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সব মামলাই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

গত ৩০ মে ড. ইউনূসকে প্রধান আসামি করে আরও ১২ জনের নামে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলাটি তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সর্বশেষ আগস্টে দায়ের করা হয় ১৮টি মামলা

গত ২৮ আগস্ট ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন কর্মচারী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা করেন। এদের মধ্যে ১৭ জন চার-পাঁচ বছর আগে অবসরে গেছেন এবং একজন বর্তমানে কর্মরত। দেখা গেছে, সবাই আলাদা আলাদা মামলা করলেও সবগুলোর ধরন একই। অর্থাৎ মামলার অভিযোগে বলা হয়—শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।

‘অধ্যাপক ইউনূস প্রায় এক দশক ধরে হয়রানি ও ভয়ভীতির মুখোমুখি’ উল্লেখ করে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার তুর্ক। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস প্রায় এক দশক ধরে হয়রানি ও ভয়ভীতির মুখোমুখি। তিনি বর্তমানে দুটি বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন, যেগুলোতে তার কারাদণ্ড হতে পারে। একটি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং দ্বিতীয়টি দুর্নীতির অভিযোগ।’

ভলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন যে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর প্রচারণা অনেক সময়ই সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আসছে এবং এতে তার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি আছে।’

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে দায়ের করা মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের এসব বিবৃতি অব্যাহত আছে। এর আগে গত ২৮ আগস্ট বিশ্বের ১৬০ জন সুপরিচিত ব্যক্তি ও নেতা অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। এরমধ্যে বিশ্বের ১০০ জন নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ বিশিষ্টজন ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দেন। তারা মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ড. ইউনূসকে হয়রানির অভিযোগ মোটেও সঠিক নয়। একটি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তবু এইটুকু বলছি, এই মামলা হয়রানিমূলক নয়। যাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করেছে, তারা আদালতে প্রতিকার চেয়েছে। এটা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তাদের অধিকার। সংবিধানে এই অধিকার তাদের দেওয়া আছে। তিনি (ড. ইউনূস) অপরাধ করেছেন কী করেননি, সেটা আদালত বিচার করবেন।

বিএনএ নিউজ/ সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ
শনিরআখড়ায় বাসের ধাক্কায় নিহত ১ বাংলাদেশ ও ভারত টেস্ট খেলার ধারাবিবরণী প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার ১ নভেম্বর হতে অবৈধ পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপনে জাপানের প্রতি আহ্বান ক্রীড়া উপদেষ্টার জাপানে শতবর্ষী নাগরিকের সংখ্যা ৯৫ হাজার ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত শাহদীন মালিকের পরিবর্তে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ ঝিনাইদহে দুই শিবিরকর্মী হত্যার দায়ে ৮পুলিশসহ ২৩জনের বিরুদ্ধে মামলা জুলাই গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি-সাংবাদিক হলেও রেহাই নেই : নাহিদ ইসলাম চট্টগ্রাম বন্দর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ