বিএনএ, ঢাকা: পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক–শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর কাওরান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) কার্যালয় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিপিসির পরিচালক (মার্কেটিং) অনুপম বড়ুয়া। তিনি জানান, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক–শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট স্থগিতে রাজি হয়েছেন। তাদের দাবি নিয়ে বিপিসি কাজ করছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিপিসির এই কর্মকর্তা।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে রোববার ভোর থেকে সারাদেশে জ্বালানি তেল উত্তোলন পরিবহন ও বিক্রিতে ধর্মঘট পালন শুরু করে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক–শ্রমিকেদের একাংশ। এর ফলে দেশের বিভিন্ন ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও সরবরাহ দিনভর বন্ধ ছিল। পেট্রোল পাম্পগুলোতে বিক্রি হলেও তেলের সংকট দেখা দেয় অনেক এলাকায়।
ধর্মঘটে যাওয়া সংগঠনগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতি।
ধর্মঘটের খবর শুনে গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন পাম্পে তেল নেয়ার জন্য গাড়ির দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। আজ সকালে অনেকেই বিভিন্ন পাম্পে গিয়ে তেল না পেয়ে চরম ভোগন্তির শিকার হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (একাংশ) মহাসচিব মিজানুর রহমান বলেন, ‘তিনটির মধ্যে একটি দাবি পূরণ হয়েছে। অপরটি পূরণ হওয়ার পথে। এখন আমাদের একটা দাবি সেটা হলো- তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি। আমরাও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে চাই না। এজন্যই পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ না করে উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখেছি। সাধারণ প্রতিটি পাম্পে ১ থেকে ২ দিনের তেল মজুদ থাকে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করব।’
বিএনএ/এমএফ