মেডিকেল প্রতিবেদক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে থেকে নবজাতক আব্দুল্লাহকে চুরি করার ঘটনা সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী–স্ত্রীসহ একই পরিবারের চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে শিশু চুরির ঘটনায় জড়িত নুসরাত তার স্বামীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলো, নুসরাতের স্বামী নাজমুল হোসেন তুষার, শাশুড়ি নাহার বেগম ও ননদ নাদিরা ওরফে খুরশিদা।
রাজমিস্ত্রি হিরোন মিয়া ও সাহানা বেগম দম্পতির একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। সিজারে জন্ম হওয়া নবজাতক মায়ের দুধ না পাওয়ায় একই ওয়ার্ডে ভর্তি নুসরাত নামের আরেক নারী এগিয়ে আসেন। তার নবজাতক আইসিইউতে থাকায় হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে কৌশলে চুরি করেন।এরপর শিশুটিকে নিয়ে আজিমপুর এলাকায় স্বামী তুষারের কাছে রেখে হাসপাতালে ফিরে আসেন ওই নারী।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
শিশু চুরির বিষয়ে ডিসি আশরাফ বলেন, তিনদিন ধরে সাহানার নবজাতককে দুগ্ধদান করে আসছিলেন নুসরাত। ওই সময়ে তার শিশুটি আইসিইউতে ছিল। তার শিশুটির বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা না থাকায় তিনি হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যান। শিশুটিকে নিয়ে আজিমপুর এলাকায় স্বামী তুষারের হাতে তুলে দেন। এরপর ফের হাসপাতালের বেডে এসে শুয়ে থাকেন।
আর তুষার শিশুটিকে তাদের বাসায় নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার তথ্য পেয়ে শাহবাগ থানা পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় নুসরাত নবজাতকটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। তাকে জিজ্ঞাবাদে চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নুসরাত সিজারের রোগী। সে অসুস্থ থাকায় থানা পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নুসরাত সুস্থ হলে তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে।হাসপাতালের কেউ জড়িত রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি। আমরা তদন্ত করে দেখছি হাসপাতালের কেউ জড়িত আছেন কি না।
বিএনএ, আহা,জিএন