26 C
আবহাওয়া
৯:২৭ পূর্বাহ্ণ - মে ১০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: ২ ঘণ্টার পথ যেতে লাগবে ২০ মিনিট

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: ২ ঘণ্টার পথ যেতে লাগবে ২০ মিনিট

এক্সপ্রেসওয়ে

বিএনএ চট্টগ্রাম: বন্দরনগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গ সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব মাত্র ১৬ কিলোমিটার। কিন্তু এই দুরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। কখনো কখনো লাগে আরও বেশি সময়। বছরের পর বছরের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের মানুষ। আগামী নভেম্বর মাসে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের দীর্ঘতম এবং নান্দনিক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এতে বিশাল দূরত্বের পথ যেতে লাগবে মাত্র ২০ মিনিটে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের নভেম্বরে চালু হচ্ছে চট্টগ্রামের লালখান বাজার হতে শাহ্ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করবেন। মূল এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে উঠা-নামার জন্য আরও সময় লাগবে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গৃহীত প্রকল্পে নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৬ দশমিক ৫ মিটার প্রশস্ত চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে বেশির ভাগই শেষ হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে ১৪টি র‌্যাম্প বসানোর কাজ অবশিষ্ট রেখে আগামী নভেম্বরে এই প্রকল্পের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়েটি নগরীর মূল সড়কের বুক চিরে গিয়ে এক প্রান্ত লালখানবাজারের উড়ালসড়কের সাথে যুক্ত হবে। আর অপর প্রান্ত যুক্ত করবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের সাথে। আর চলতি বছরই পরিকল্পনা অনুযায়ী টানেলটি চালু হলে বিমান বন্দর সড়ক সহ নগরীর সব সড়কে বাড়বে যানবাহনের চাপ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ জানান, চট্টগ্রামে চলতি বছরেই চালু হচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। এতে চট্টগ্রাম নগরীর বিদ্যমান যানজটের সাথে আরো বাড়বে পরিবহনের চাপ। আর তা সামাল দিতে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলাচলের জন্য এ উড়ালসড়কটি চলতি বছরেই চালু করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম নগরী থেকে পতেঙ্গা ও বিমানবন্দর পর্যন্ত যাতায়াতে আনবে গতি। এতে চট্টগ্রামবাসী দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ এসজিএন/ হাসনাহেনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ