বিএনএ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় প্রায় ১০ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত শাওন প্রধানের বড় ভাইয়ের করা মামলায় প্রায় পাঁচ হাজার আর পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলায় ৭১ জনের নামোল্লেখসহ আরও প্রায় পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত শাওন প্রধানের বড় ভাই মিলন হোসেন বাদী হয়ে ওই রাতেই একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা বিএনপির পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সবুর খান সেন্টু, সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ আসামিদের তালিকায় ৭১ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. আমীর খসরু এ ঘটনার নিশ্চিত করেন।
পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলার অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল বাদী হয়ে অন্য মামলাটি করেছেন। এ মামলায় ৭১ জনের নাম উল্লেখসহ প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এরমধ্যে পুলিশের করা মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আগামী রোববার রিমান্ড শুনানি হবে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- মো. আব্দুস সাত্তার (২২), মো. মজিবুর রহমান (৫২), রঞ্জন কুমার দেবনাথ (৩৬), রাজিব (৩৮), মো. জনি (৩৮), বাদল (৩৩), মো. আবুল কালাম ভূইয়া (৪৮), রিমন (২২), ইমন (১৮) ও সোহান (১৫)।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিহতের বড় ভাই মিলন প্রধান এবং মামা মোতাহার হোসেনের কাছে শাওনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাড়িতে আনা হয় শাওনের মরদেহ। রাত দেড়টায় পুলিশের প্রহরায় ফতুল্লার নবীনগর শাহওয়ার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ শেষে নবীনগর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
বিএনএ/ ওজি