বিএনএ,স্পোর্টসডেস্ক :পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ।শুক্রবার(৩ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।টানা দ্বিতীয় জয়ে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।
১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের । দলীয় ১৬ রানের মাথায় টম ব্লান্ডেলকে হারায় । মেহেদি হাসানের বলে স্টাম্পিং হন ৬ রান করে এই ওপেনার। তার পরের ওভারে সাকিব বোল্ড করে আরেক ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রকে।
এরপর টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াং খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে।ভয়ংকর হয়ে উঠে তাদের জুটি।প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ করেছিল ২ উইকেটে ৬০।আর তারা করে ২ উইকেটে ৫৭ রান। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারানোর পর সফরকারীদের টানছিলেন টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াং।
একাদশ ওভারে ইয়াংকে ফিরিয়ে ভাঙ্গেন ৪৩ রানের জুটি সাকিব আল হাসান। আউট হবার অগে ইয়াংয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৪ চারে ২২ রান।
জয়ের জন্য তখন তাদের প্রয়োজন ৫ ওভারে ৫৪ রান।
৭ রানের ব্যবধানে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও হেনরি নিকোলাসকে হারায় কিউয়িরা। ১৮ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দলীয় রান ৫ উইকেটে ১১৪। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে সফরকারীদের প্রয়োজন ২৮ রান। ক্রিজে তখন ছিলেন ছন্দে থাকা অধিনায়ক টম ল্যাথাম । সর্তীতদের আসা যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্তে লড়াই করে ৩৮ বলে তুলে নিলেন নিজের অর্ধশত রান।
নিউ জিল্যান্ডের আশা হয়ে টিকে থাকা টম ল্যাথামকে ফেরানোর একটা সুযোগ হাতছাড়া করলেন নুরুল হাসান সোহান। দুই রান নেওয়ার চেষ্টায় সময় মতো ফিরতে পারেননি নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক। কিন্তু বল গ্লাভসে আসার আগেই বেলস ফেলে দেন সোহান।
বেঁচে যান ল্যাথাম, সে সময় ৫৭ রানে ছিলেন তিনি।
১৯ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৫ উইকেটে ১২২। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২০ রান চাই সফরকারীদের।
শেষ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। মুস্তাফিজুর রহমানের ওভারে সেই রান করে ফেলারই আশা জাগিয়েছিল সফরকারীরা।
প্রথম বলে ৩রান করেন কোল ম্যাকনকি। পরের তিন বলে আসে কেবল ৪ রান। শেষ ২ বলে প্রয়োজন ১৩। পঞ্চম বলে নো বল করে বসে মুস্তাফিজ ওই বলে ল্যাথামের ব্যাটের কানায় লেগে হয়ে যায় ৪ রান।
জেতার জন্য তখন নিউ জিল্যান্ডের প্রয়োজন ২ বলে ৮। পঞ্চম বলে আসে ২। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রানের।কিন্তু নিতে পারেন শুধু ১।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা। শুরুটা দারুন হয় বাংলাদেশের । মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাশ উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৯ রান। ৩৩ রান করা লিটন ও তার পরের বলে মুশফিককে শূন্য রানে ফেরান রাচীন রবীন্দ্র। সাকিব নেমে ১২ রান করে ম্যাকনকির শিকার হয়।
এরপর ব্যাট করতে নেমে নাঈমকে সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৯ রান করা নাঈমকে আউট করে এই জুটি ভাঙ্গেন রাচিন রবীন্দ্র্র। এই জুটি থেকে আসে ৩৪ রান।
ক্রিজে এসেই দ্রুত রান বাড়ানোর জন্য চেয়েছিলেন আফিফ । বেশিক্ষণ টিকলেন না বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এজাজ প্যাটেলের বলে লং অনে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।তার ব্যাট থেকে আসে ৩ বলে ৩ রান।
শেষে রানের গতি বাড়ান মাহমুদউল্লাহ ও সোহান। ইনিংসের শেষ বলে হামিশ বেনেটকে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন সোহান। ৯ বলে এই কিপার-ব্যাটসম্যান করেন ১৩ রান। ৩২ বলে ৫ চারে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪১/৬ (নাঈম ৩৯, লিটন ৩৩, মাহমুদউল্লাহ ৩৭*, প্যাটেল ৪-০-২০-১, ম্যাকনকি ৪-০-২৪-১, বেনেট ৪-০-৩২-১, রাচিন ৪-০-২২-৩, )
নিউজিল্যান্ড: ১৩৭/৫ ( ল্যাথাম ৬৫,উইল ইয়াং ২২, মেহেদি ৪-০-১২-২,সাকিব ৪-০-২৯-২) ।
বিএনএ/এমএম