বিএনএ, ঢাকা : আম্মু আমাকে বাঁচাও, আমার খুব ব্যথা লাগছে’ কাঁদতে কাঁদতে এভাবেই মায়ের কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল রাফিয়া আহসান ঐশী (১২)। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হেরে গেল শিশু ঐশী। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পোস্ট অপারটিভে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে পেটে পাইপ ঢোকা ঐশী নামের এক শিশুকে ঢামেক হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে রাতে তার অপারেশন হয়। আজ সকালে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।ঐশীর মা সোনিয়া সুলতানা জানান, মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না। আমার মেয়ে বাঁচতে চেয়েছিল। ও বলেছিল, আম্মু আমাকে বাচাঁও, আমার অনেক ব্যথা করছে। রক্ত ম্যানেজ করে রাতে অপারেশন করা হলো। সকালে আমার মেয়ে চলে গেল না ফেরার দেশে। আমাকে আর আম্মু আম্মু বলে ডাকবে না।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসায় স্কেটিং সাইকেল নিয়ে ভাই রাইয়ার আহসান সঙ্গে খেলার সময় মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা শিকার হয় ঐশি। স্কেটিং সাইকেলের প্রায় ২ ফিট লম্বা স্টিলের হ্যান্ডেলটির সম্মুখ ভাগ তার পেটে ঢুকে যায়। ওই অবস্থাতেই তাকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। শিশু ঐশীর বাসা ঢাকার মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদিয়া হাউজিংয়ে ৬ নম্বর রোডে। পরে মোহাম্মদপুর ফায়ারসার্ভিসের লিডার কামাল হোসেন মোহাম্মদপুর মোহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেডের চার তলা বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেও প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়া যায়নি। এরপর তাকে সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মারা যায় শিশু ঐশী। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় হাফিজিয়ায় পড়তো। মৃত ঐশীর বাবার নাম মোহাম্মদ আহসান।
বিএনএনিউজ/আজিজুল/এইচ.এম।