20 C
আবহাওয়া
১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কবর জিয়ারতের দোয়া ও নিয়ম

কবর জিয়ারতের দোয়া ও নিয়ম

কবর জিয়ারতের দোয়া ও নিয়ম

বিএনএ, ডেস্ক: মৃত্যুর পরবর্তী ঠিকানা সাড়ে তিন হাত মাটির ঘর কবর! ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক মুসলিম হলে মৃত্যুর পর কবরে অবশ্যই শুতে হবে। কবর মৃত ব্যক্তির জন্য পরকালের প্রথম স্তর। আর জীবিত মানুষের জন্য শিক্ষালাভের মাধ্যম। কবর মানুষকে মৃত্যু ও পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং পার্থিব জীবনে আল্লাহর অনুগত হওয়ার উৎসাহ দেয়।

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের কবর জিয়ারতে নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর জিয়ারত করো। কারণ, তা দুনিয়াবিমুখতা এনে দেয় এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৫৭১)

মৃত ব্যক্তির নাজাতের উপায় হিসেবে আপনজনের দোয়া রহমত হিসেবে কাজে আসে। মুসলিম শরিফে হজরত আয়েশা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে, তিনি একদিন হযরত রাসুল (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুল (সা.)! কবর জিয়ারতের সময় আমি কি বলব?

রাসুল (সা.) বললেন, সালাম হউক মুমিন ও মুসলিমদের বাসস্থানের অধিবাসীদের ওপর এবং দয়া করুন আল্লাহ আমাদের মধ্যে থেকে যারা প্রথমে কবরে গিয়েছে তাদের প্রতি এবং যারা কবরে পরে আসবে। আমরাও ইনশাআল্লাহ শিগগিরই তোমাদের (কবরবাসীর) সঙ্গে যুক্ত হব।

কবর জিয়ারতের বিধান
ইমাম নববী (রহ.) বলেন, বেশিরভাগ আলেম এই বিষয়ে একমত যে কবর জিয়ারত করা মুস্তাহাব।

আলেমরা বলেন, কবর যদি নিজ গ্রাম, এলাকা বা শহরের বাইরে হয়, তবে শুধু কবর জিয়ারতের জন্য কোথাও সফর করবে না, বরং দূর থেকেই দোয়া করবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) তা করতে নিষেধ করেছেন।

কবর জিয়ারত করবেন যেভাবে
কবরস্থানে যাওয়ার পর সর্বপ্রথম জিয়ারতের দোয়া পড়বেন। এরপর কবরবাসীর ইছালে সওয়াবের নিয়তে দরুদ শরিফ ও বিভিন্ন সুরা ইত্যাদি পড়বেন। মৃতের বা কবরবাসীর মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন।

দরুদ শরিফ, সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সূরা ইখলাস ও যেসব সূরা সহজ মনে হয়, সেগুলো পড়ে মৃত ব্যক্তির রুহের ওপর সওয়াব পাঠিয়ে দিন।

চাইলে হাত না তুলেও মনে মনে দোয়া করতে পারেন। তবে কবর সামনে রেখে দুই হাত তুলে দোয়া করা উচিত নয়। তাই কবরকে পেছনে রেখে কিংবা কবরের দিকে পিঠ দিয়ে এরপর কিবলামুখী হয়ে দোয়া করতে হবে

কবর জিয়ারতের দোয়া
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনার কবরবাসীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই দোয়া পাঠ করেন—

বাংলা উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর; ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আ-সার।

অর্থ : হে কবরবাসী! তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের ক্ষমা করুন, তোমরা আমাদের আগে কবরে গিয়েছ এবং আমরা পরে আসছি। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৫৩)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, একবার রাসুল (সা.) একটি কবর জিয়ারতে গিয়ে বলেন—

বাংলা উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকুম দারা ক্বাওমিম মুমিনিন ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লা-হিকুন।

অর্থ: মুমিন এই ঘরবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। ইনশাআল্লাহ আমরা আপনাদের সঙ্গে মিলিত হবো। (সহিহ মুসলিম : ২৪৯)

মৃত ব্যক্তির জন্য যেকোনো স্থান থেকেই দোয়া করা যায়। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন কোনো ব্যক্তি মারা যায় তখন তার আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়।

তবে তিনটি বিষয় ব্যতিক্রম : সদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান যা দ্বারা অন্যরা উপকৃত হয়েছে অথবা এমন নেক সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২৮৮০)

বিএনএনিউজ/বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ